গত রোববার হংকংয়ে প্রীতি ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে ইন্টার মিয়ামির হয়ে খেলতে পারেননি মেসি। তবে বুধবার জাপানে আরেকটি প্রীতি ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন আর্জেন্টাইন তারকা। এ ঘটনায় ফুঁসে রাখা আরও প্রশমিত হয়েছে হংকংয়ের। এবার ইন্টার মিয়ামির কাছে মেসিকে না খেলানোর যৌক্তিক ব্যাখ্যা দাবি করেছে হংকং সরকার।
হংকংয়ের সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও পর্যটন ব্যুরো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ভক্তদের মতো তারাও হতাশ যে মেসিকে সেদিন মাঠে নামতে দেখা যায়নি।’
‘ইন্টার মায়ামির কোচ ৪ ফেব্রুয়ারি বলেছিলেন, চোটের কারণে মেসি খেলতে পারছেন না। অথচ হংকংয়ে না খেললেও তিন দিন পরই জাপানে খেলতে সক্ষম হয়েছেন মেসি। মাঠে বেশ সক্রিয়ভাবে বিচরণও করেছেন তিনি এবং অনেক কিছুই অবাধে করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। সরকার আশা করছে, ম্যাচটির আয়োজকরা এবং তার দল এটির যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা দেবেন। হংকংয়ের নাগরিকদের অনেক প্রশ্ন আছে।’
হংকংয়ে সেদিন মূল আকর্ষণ ছিল মেসিকে ঘিরে। ৪০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়ামে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। এমনকি ১২ ঘণ্টা ভ্রমণ করেও মেসিকে দেখতে গিয়েছিলেন অনেকে।
৫ হাজার হংকং ডলারের (প্রায় ৬৫০ মার্কিন ডলার) টিকেট কেটে খেলা দেখেছেন অনেকে। মেসিকে সেদিন মাঠে না নামানোয় বেশ ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় দর্শকদের। টিকেটের টাকাও ফেরত চেয়েছেন অনেকে।
হংকংয়ে মাঠে না নামার পর প্রচণ্ড ক্ষোভ দেখে ম্যাচের পর সামাজিকমাধ্যমে চীনা ও স্প্যানিশ ভাষায় দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন লিওনেল মেসি। বলেছেন, ‘যারা আমাকে চেনেন, সবাই জানেন আমি সবসময়ই খেলতে চাই, বিশেষ করে এই ম্যাচগুলোয়, যেখানে আমরা অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে যাই এবং আমাদের খেলা দেখতে লোকে রোমাঞ্চ নিয়ে অপেক্ষায় থাকে। আশা করি, আমরা কখনও আবার এখানে ফিরে আসব ও হংকংয়ে ম্যাচ খেলতে পারব।’