আর্জেন্টিনা তখন ১-০ গোলে এগিয়ে, গুইডো রদ্রিগেজের জায়গায় এনজো ফের্নাদেজকে নামান কোচ লিওনেল স্কালোনি। সুযোগের সবটুকু লুফে নেন প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসা এনজো। লিওনেল মেসির পর আর্জেন্টিনার হয়ে গড়েছেন সবচেয়ে কম বয়সে গোল করার কীর্তি, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলকে সাহায্য করে বসেছেন রেকর্ডটিতে।

২০০৬ সালে যেটি করেছিলেন মেসি, ২০২২ সালে সেটি করলেন এনজো, সবচেয়ে কম বয়সে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে গোলে থাকলেন দুইয়ে। এলএম টেনের তখন বয়স ছিল ১৮ বছর ৩৫৭ দিন, এনজো সেখানে জালের দেখা পেলেন ২১ বছর ৩১৩ দিন বয়সে। মেসির সবচেয়ে কম বয়সী রেকর্ডের পরে সতীর্থের বসার দিনে ভিন্ন কয়েকটি রেকর্ড গড়েছেন মেসি নিজেও।
আর্জেন্টিনা জার্সিতে গোলমেশিনে পরিণত হওয়া মেসি পঞ্চম বিশ্বকাপে এসে ছুঁয়েছেন কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে। বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার ২১ ম্যাচে ৮ গোলের কীর্তি সমান ম্যাচেই ছুঁয়ে এখন সামনে এগোনোর সুযোগ পাচ্ছেন মেসি।
কম বয়সী গোলের রেকর্ড তো আগেই ছিল, মেক্সিকোর বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে গোল করে মেসি বসেছেন কম বয়সী ও বেশি বয়সী ফুটবলার হিসেবে গোল করার যৌথ-মেলবন্ধন রেকর্ডে। ১৯৬৬ সালের পর গোল পাওয়া কোনো বর্ষীয়ান হিসেবেও নাম লিখিয়েছেন তিনি, গোল এনেছেন ৩৫ বছর ১৫৫ দিন বয়সে।
লুসেইল স্টেডিয়ামে প্রায় গ্যালারি ভর্তি দর্শকদের সামনে শনিবার রাতে ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছে লিওনেল স্কালোনির দল। দারুণ গোলটি করার পাশাপাশি এনজো ফের্নান্দেজের গোলে অবদান রেখেছেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক।