চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

আমি সবকিছুই জিতেছি: মেসি

কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালের পর টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কার গোল্ডেন বল যখন উঁচিয়ে ধরছিলেন মেসি, ধারাভাষ্যকার পিটার ড্যুরের কণ্ঠে ভেসে আসে, ‘সম্ভবত এই বিতর্কের অবসান হল, লিওনেল আন্দ্রেস মেসি সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়।’ পিটারের সেই কথাই এখন সবার মুখে মুখে। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে কী জেতেননি মহাতারকা।

স্বল্পভাষী মেসি নিজেকে সর্বকালের সেরা দাবি না করলেও তার যে জেতার কিছু বাকি নেই সেটা বলেছেন। বিশ্বকাপ জয়ের মাস দেড়েক পর আর্জেন্টিনার এক রেডিওতে সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন।

‘যদি আমাকে সেরা কোনো মুহূর্ত বাছাই করতে বলা হয়, তবে বলব এটাই, আমরা বিশ্বকাপ জিতেছি। জাতীয় দলের হয়ে আমি যা কিছু করতে চেয়েছিলাম, তার সবকিছুই করেছি। ক্যারিয়ারে সবকিছুই পেয়েছি, ব্যক্তিগতভাবেও। কখনও ভাবতে পারিনি আমার জীবনে এগুলো হতে চলেছে। কারও বিপক্ষে আমার অভিযোগ নেই, আমি আর কিছু চাইবো না।’

সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর কথাগুলো শুনতে সহজ মনে হলেও রাস্তাটা অত সহজ ছিল না। টানা ৩৬ ম্যাচে অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপের শুরুতেই হোঁচট খায় দল। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে দু’হাত ভরে অর্জন এসেছে। মেসি হয়েছেন টুর্নামেন্টসেরাও।

মেসির সুসময় শুরু হয় ২০২১ সালে, কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতে। ২৮ বছর পর বড় কোনো শিরোপা জিতেছিলেন ডি মারিয়া-মেসিরা, ব্রাজিলকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে।

কোপা জিতে লা ফিনালিস্সিমা খেলার সুযোগ পায় মেসির দল। ২০২২ সালে ইউরোজয়ী ইতালিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে আলবিসেলেস্তেরা ট্রফি উঁচিয়ে ধরে।

২০১৪ সালে ব্রাজিলে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ ছিল আর্জেন্টিনার। জার্মানির কাছে ১-০ গোলে হেরে গেলেও টুর্নামেন্টসেরার গোল্ডেন বল হাতে উঠেছিল মেসির। ২০০৮ সালে অলিম্পিকে সোনা জিতেছিলেন আগুয়েরো-মেসিরা।

মেসি ২০০৫ সালে আর্জেন্টিনার হয়ে অভিষেকের বছরে জেতেন ফিফা ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপ। এপর্যন্ত সাতটি ব্যালন ডি’অর ছাড়া বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে লিগ শিরোপা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ক্লাব বিশ্বকাপসহ অসংখ্য শিরোপা জিতেছেন। তাকে তো বলা মানায়ই, আমি সব জিতেছি!