চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

মালদ্বীপের মাজিয়ার কাছে পাত্তা পেল না বাংলাদেশের কিংসরা

KSRM

এএফসি কাপে গ্রুপপর্বে প্রথম ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে মালদ্বীপের ক্লাব মাজিয়া এফসি। মালদ্বীপের ন্যাশনাল ফুটবল স্টেডিয়ামে বালাবানোভিচের অসাধারণ গোল এবং বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়দের সুযোগ হাতছাড়ার মহড়ায় হেরে শুরু হল বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নদের। বসুন্ধরার পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন স্ট্রাইকার ইব্রাহিম সুজন।

খেলার চতুর্থ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল বসুন্ধরা কিংসের। মাজিয়ার ডিফেন্ডারদের জন্য সেটা সম্ভব না হলেও ম্যাচের প্রথম কর্নার আদায় করে নেন তারিক কাজি। কর্নার কিকে আসা বলে দারুণ হেডের পর গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় গোলবঞ্চিত হয় বসুন্ধরা।

Bkash July

ম্যাচের ১২ মিনিটে রাইট উইংয়ে ফাউল পায় মাজিয়া, গোলমুখে নেয়া সহজ শট লুফে নেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। এক মিনিট পর বসুন্ধরার ফরোয়ার্ড ডোরিয়েলটন গোমেজ ডি বক্সের বাইরে একা বল পান। গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোলবঞ্চিত করেন বসুন্ধরাকে।

বসুন্ধরা সুযোগ নষ্ট করলেও একই ভুল করেনি মাজিয়া। ১৪ মিনিটে ডি বক্সের বেশ খানিকটা বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শটে অসাধারণ গোল করেন মাজিয়ার বালাবানোভিচ। গোলরক্ষক জিকোকে ফাঁকি দিয়ে টপকর্নার দিয়ে গোল হয়। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় মালদ্বীপের ক্লাবটি।

Reneta June

গোল হজম করে গুছিয়ে খেলার চেষ্টা করে সফরকারী দলটি। রাইট উইঙ্গার বিশ্বনাথকে দিয়ে বেশকিছু আক্রমণ করে বসুন্ধরা। ডি বক্সের বাইরে পরপর দুটি ফ্রি-কিক পেলেও মাজিয়ার ডিফেন্ডারদের রক্ষণে চিড় ধরাতে পারেনি। উল্টো মাঝমাঠ থেকে পাল্টা আক্রমণে দূরপাল্লার শটে প্রায় গোল হজম করতে হচ্ছিল জিকোকে। বল গোলবারের সামান্য উপর দিয়ে চলে যাওয়ায় সে যাত্রায় বেঁচে যায় কিংস।

খেলার ৩৮ মিনিটে আরেকটি সুযোগ আসে বসুন্ধরার সামনে, বাঁ-দিক থেকে আক্রমণে উঠে রাকিব প্রতিপক্ষের ডি বক্সের বাইরে থেকে ক্রস করেন ডান দিকে। মিডফিল্ডার মোরসালিন হেডে গোল করার চেষ্টা করলেও তা পোস্টে থাকেনি। পরের মিনিটে মাজিয়ার আক্রমণ রুখে দেন গোলকিপার জিকো। প্রথমার্ধে অসংখ্য গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশের ক্লাবটি।

বিরতির পর প্রথম আক্রমণে যায় মালদ্বীপের ক্লাব মাজিয়া। লেফট উইংয়ে ফাউল আদায় করে নেয় ক্লাবটি, জিকোর খুব বেশি পরীক্ষা দিতে হয়নি তখন। ৫২ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন বাংলাদেশের রাকিব। ৫৭ মিনিটে বসুন্ধরা কিংসের হাতে সুবর্ণ সুযোগ আসে, ছোট বক্সের মধ্যে ডোরিয়েলটন গোলমুখে শট পাস দেন, রাকিবের হেড দারুণভাবে ফিরিয়ে দেন মাজিয়ার গোলরক্ষক।

বিরতির পর দুটি পরিবর্তন করে মাজিয়া। এদের মধ্যে পরিবর্তিত খেলোয়াড় হাসান নাজিম বসুন্ধরাকে আরও বিপদে ফেলেন। ৬৭ মিনিটে নাজিমের নেয়া ডি বক্সের বাইরের শট গোল আদায় করে দেয় মাজিয়াকে। মালদ্বীপের ক্লাবটি এগিয়ে যায় ২-০ গোলে।

শেষদিকে বারবার আক্রমণ করেও লাভ হয়নি বসুন্ধরার। ৮৩, ৮৫ এবং ৮৬ মিনিটে সুযোগ আসলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি, ডোরিয়েলটন, ইব্রাহিম সুজন, রবসনরা। উল্টো ইনজুরি টাইমে বদলি হিসেবে নামা আলিফ আসিরের গোলে কফিনের শেষ পেরেকটি ঠুকে যায়। শেষ হয় বসুন্ধরার আশা। শেষ মিনিটে একটি গোল অবশ্য করেন কিংসদের ইব্রাহিম সুজন।

I Screen Ami k Tumi
Labaid
Bellow Post-Green View