চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

এখন রিভার্স সুইপ খেললে ভ্রু কোঁচকান না কেন?

রিভার্স সুইপ খেলে বল বাউন্ডারি ছাড়া করায় আলাদা পরিচিতি আছে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের। তবে টেস্টে এই শটকে বোকামির সামিল ধরা হতো একটা সময়। এখন অবশ্য অনেকেই হরহামেশায় টেস্টে রিভার্স সুইপ খেলেন। সেখানেই প্রশ্ন ম্যাক্সওয়েলের। কেননা এই শট খেলে বিতর্কিত হয়েই একসময় টেস্টে বাদ পড়েছিলেন অজি অলরাউন্ডার।

সবশেষ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে অজিদের দলে ছিলেন ম্যাক্সওয়েল। পরে কেটে গেছে পাঁচ বছর। অপেক্ষা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়, ডাক আসে না। মাঝে শ্রীলঙ্কা সফরের দলে থাকা ট্রাভিস হেড চোটে পড়লে হঠাৎ ডাক পেয়েছিলেন। একাদশে জায়গা হবে ভেবে আশায় বুক বাধেন। কিন্তু অপেক্ষা ফুরোয়নি। উল্টো ‘চূর্ণবিচূর্ণ’ হয়েছে মন। হালও ছাড়ছেন না অবশ্য। ভারত সফরের দলে ডাক পাওয়া প্রত্যাশা করছেন ম্যাক্সি।

‘যদি উভয় টেস্টের জন্য একই পিচ হতো, তাহলে হয়তো আমিই খেলতাম। কিন্তু তারা ভালো উইকেট তৈরি করায় নির্বাচকরা আমাকে দলে রাখেননি। সত্যিই হতাশ হয়েছিলাম। আমি খেলতে চেয়েছিলাম। টেস্টে ফিরতে চেয়েছিলাম।’

উপমহাদেশের কন্ডিশনে বরাবরই নজর কাড়েন ম্যাক্সওয়েল। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি স্পিনটাও বেশ ভালো সামলাতে জানেন ৩৩ বর্ষী অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার। আসছে অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে ৪টি টেস্ট খেলার কথা অস্ট্রেলিয়ার। যেখানে সুযোগ পাবেন বলে আশা করছেন। তবে রিভার্স সুইপ নিয়ে বিতর্ককারীদের একহাত নিয়েছেন তিনি।

‘খুব বেশি আশা না করার চেষ্টা করেছি, কারণ জানি এরআগে অনেকবার এমন পরিস্থিতিতে পড়েছি। নির্বাচনের সময় আমাকে ৫০-৫০ বলে ধরা হয়। তবে সামনের ভারত সিরিজ ঘিরে আশাবাদী থাকছি।’

‘যখন রিভার্স সুইপ খেলেছি, তখন সবাই ভ্রু কোঁচকাত। এখন বিশ্বের অনেক বড় ক্রিকেটারই এই শট খেলে থাকেন। এটি এখন টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম শট হয়ে উঠেছে। এখন সবাই এটি খেলে। তবে ছয় বছর আগে যারা রিভার্স সুইপ নিয়ে আমার সমালোচনা করত, তারা কোথায় ছিল? যখন টেস্ট খেলতাম তখন লোকেরা কেন আমার দিকে তাকিয়ে ‘ওহহ’ বলে স্বপ্নদর্শী হননি?’