চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

‘ফুটবল আমাকে একজন ভাই দিয়েছে’

ক্যারিয়ারের দীর্ঘ ১৬টি বছর কাটানোর পর রিয়াল মাদ্রিদ অধ্যায়ের সমাপ্তি টেনেছেন ক্লাবটির হয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিরোপাজয়ী মার্সেলো ভিয়েরা। বার্নাব্যু ছেড়ে সেখানকার একসময়ের সতীর্থ পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর থেকে তিনি পেলেন আবেগঘন বার্তা।

রিয়ালের ইতিহাসের অন্যতম সফল জুটি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন রোনালদো-মার্সেলো। অনেক আগেই লস ব্লাঙ্কোস ডেরা ছেড়ে জুভেন্টাস ঘুরে এখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সিআর সেভেনের ঠিকানা। মার্সেলো এখনও নতুন গন্তব্যের ব্যাপারে কিছু জানাননি। তবে বার্নাব্যু এখন তার জন্য অতীত।

ব্রাজিলিয়ান লেফট ব্যাকের রিয়াল ছাড়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রোনালদো। ইউনাইটেড স্ট্রাইকার মার্সেলোর সঙ্গে নিজের একটি সাদাকালো ছবিও পোস্ট করেছেন।

রোনালদো লিখেছেন, ‘একজন সতীর্থের চেয়েও বেশিকিছু। ফুটবল আমাকে একজন ভাই দিয়েছে। মাঠের ভেতর এবং বাইরে আমার জীবনের অন্যতম সেরা তারকা, যার সঙ্গে লকাররুম ভাগাভাগি করতে পেরেছি। নতুন দুঃসাহসিক অভিযানের জন্য এগিয়ে যাও মার্সেলো!’

রিয়ালের সাবেক গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াসও একসময়ের সতীর্থ মার্সেলোকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন।

‘তুমি ছোটবেলায় (রিয়ালে) এসেছিলে। কতবার চিৎকার করে বলেছি মার্সেলোলোলোলোলো, ফিরে এসো! কিংবদন্তি হওয়ার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। আমার বন্ধুকে একটি বড় আলিঙ্গন এবং ভবিষ্যতের জন্য শুভ কামনা জানাচ্ছি।’

ব্রাজিল দলের উইঙ্গার ভিনিসিয়াস জুনিয়র স্বদেশির রিয়াল ছাড়া নিয়ে বলেছেন, ‘মার্সেলো! সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ! বিশ্বের সেরা ক্লাবে সবচেয়ে বেশি শিরোপাধারী কিংবদন্তি খেলোয়াড়। আপনার কাছ থেকে খেলা শিখতে পারাটা আনন্দের ছিল।’

রিয়ালের জার্মান মিডফিল্ডার টনি ক্রুজ টুইটারে লিখেছেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে সর্বকালের সেরা লেফট ব্যাকের সঙ্গে খেলেছি।’

মাত্র ১৯ বছর বয়সে ২০০৭ সালে ফ্লুমিনেন্স থেকে রিয়ালে আসেন মার্সেলো। তাতেও ছিল নাটকীয়তা। স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়ার উদ্দেশে বিমানে উঠে বার্নাব্যুতে অবতরণ করেন। ক্লাবটির হয়ে জিতেছেন ২৫টি শিরোপা। যার ভেতর আছে ৬টি লা লিগা ও ৫টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ৫৬৪ ম্যাচে করেছেন ৩৮ গোল।