ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুম শেষে পয়েন্ট টেবিলের সেরা দশেও ছিল না ব্রেন্টফোর্ড। দলটি ১৩তম স্থানে থেকে আসর শেষ করেছিল। অথচ এবার তারা ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছে।

ব্রেন্টফোর্ড ১৯৩৭ সালে লিগ ডিভিশন ওয়ান ও ১৯৩৮ সালে এফএ কাপে রেড ডেভিলদের হারিয়েছিল। দীর্ঘ ৮৪ বছর পর ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে ব্রেন্টফোর্ডের কাছে হারের লজ্জায় পড়ল ইউনাইটেড।
আরেক ম্যাচে বোর্নমাউথকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।
দুই ম্যাচের সবকটিতে জিতে ৬ পয়েন্ট পাওয়া ম্যানসিটি টেবিলের শীর্ষে রয়েছে। সমান ম্যাচে ৬ পয়েন্ট অর্জন করলেও গোল ব্যবধানের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে আছে লেস্টার সিটিকে ৪-২ গোলে হারানো আর্সেনাল। ৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ব্রেন্টফোর্ড। চোখ কপালে ওঠার মতো ব্যাপার টেবিলে সবার নিচে থাকা দলটির নাম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। দুই ম্যাচেই হারের মুখ দেখা দলটি এক গোল পাওয়ার বিপরীতে হজম করেছে ছয়টি।
শনিবার জিটেক কমিউনিটি স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচের প্রথমার্ধেই এক হালি গোল হজম করে এরিক টেন হাগের শিষ্যরা। দশম মিনিটেই ম্যাথিয়াস জেনসেনের অ্যাসিস্টে বল পেয়ে ডানপায়ের দূরপাল্লার শটে লক্ষ্যভেদ করেন জশ ডাসিলভা। আট মিনিট পর ডান পায়ের শটে বল জালে জড়ান জেনসেন।
৩০ মিনিটের মাথায় ইভান টনির কর্নার কিকে ভেসে আসা বলে মাথা ছুঁইয়ে নিশানাভেদ করেন বেন মে। ভিএআরের শরণাপন্ন হয়ে রেফারি গোলের সংকেত দেন।
এরপর ৩৫ মিনিটে দ্রুত আক্রমণ থেকে ইভান টনির বাড়ানো বল নিয়ে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন ব্রায়ান এমবেউমো।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তিনজন খেলোয়াড় বদল করেন টেন হাগ। মোট পাঁচজন খেলোয়াড় পরিবর্তন করেও কাজের কাজ হয়নি। আর গোল হজম না করলেও নিজেরা একটিও দিতে পারেনি। ৮৬ মিনিটে ইয়োনে উইসা ও ৮৭ মিনিটে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শট প্রতিহত করেন ব্রেন্টফোর্ডের গোলরক্ষক ডেভিড রায়া।
এদিকে ইতিহাস স্টেডিয়ামে হওয়া আরেক ম্যাচে ম্যানসিটি দাপুটে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে। ১৯ মিনিটে আর্লিং হালান্ডের বাড়ানো বল নিয়ে বাঁ পায়ের শটে গোল করে স্বাগতিকদের লিড এনে দেন ইলকায় গুনডোয়ান। ৩১ মিনিটে ফিল ফোডেনের কাছ থেকে বল নিয়ে ডান পায়ের লক্ষ্যভেদে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেভিন ডি ব্রুইনে।
দ্রুত আক্রমণে ওঠা ডি ব্রুইনের বাড়িয়ে দেয়া বল আদায় করে বাঁ পায়ে নিশানাভেদ করেন ফোডেন। বিরতির পর ৭৯ মিনিটে বোর্নমাউথের জেফারসন লারমা নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দেন।