গত মৌসুমে টেনেটুনেও পাশ নম্বর ওঠানো যায়নি। নয়া কোচ এরিক টেনের অধীনে লেটার নম্বর তোলার স্বপ্নে বিভোর রেড ডেভিলরা। বিধি বাম, গত মৌসুমজুড়ে তাদের গারে চেপে বসা হারের ভূত এ মৌসুমেও পিছু ছাড়ছে না। ব্রাইটন এন্ড হোভের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে তাই এরিক টেনের সরল স্বীকারোক্তি রোনালদোদের নিয়ে, অভাবটা আত্মবিশ্বাসে।
র্যাঙ্গনিককে সরিয়ে ওল্ড ট্রাফোর্ডের মসনদে বসেছেন ডাচম্যান এরিক টেন। প্রীতি ম্যাচে নজরকাড়েনি তার দল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে চান বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলা রোনালদোও অংশ নেননি প্রাক-মৌসুম ক্যাম্পে। প্রতীক্ষায় ছিলেন সাবেক শিষ্য ডি ইয়ং ফেরার। বার্সার মায়ায় পড়ে সাবেক গুরুকে বহু আগেই ভুলেছেন ডি ইয়ং। জমেনি অনুশীলন ক্যাম্পও। যার ছাপ মৌসুমের প্রথম ম্যাচে হেরে রেখেছে ইউনাইটেড। হারের পর শিষ্যদের আত্মবিশ্বাসের অভাবকে দায়ী করেছেন ইউনাইটেড কোচ।
‘ভালো শুরু পেয়েছিলাম আমরা। এরপর ফুটবলারদের বিশ্বাসের স্তর নিচে নেমে গেলে আমরা ভুল করতে থাকি। যার শাস্তি প্রতিপক্ষ আমাদের দিয়েছে। বুঝতে পারছি ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। গত মৌসুমের ফলাফল এ মৌসুমে টেনে আনা উচিত নয়। তারা ভালো খেলোয়াড়, আত্মবিশ্বাস নিজে থেকে তৈরি হয়।’
মৌসুম শুরুর আগের ম্যাচে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে এরিক টেনের সাথে ঝামেলায় জড়িয়েছেন রোনালদো। ব্রাইটনের বিপক্ষে একাদশে সুযোগ পাবেন কিনা সেটা নিয়েই ছিল শঙ্কা। রোনালদোর পরিবর্তে ফলস নাইন হিসেবে নতুন আসা ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনকেই বেশি পছন্দ ডাচম্যানের। দ্বিতীয়ার্ধে, খেলার ৫৩ মিনিটে ফ্রেডের বদলি হিসেবে অবশ্য পর্তুগিজ সুপারস্টারকে নামান কোচ। নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি রোনালদো। খোলসে ঢাকা পড়েছিলেন ৩৭ বর্ষী মহাতারকা। ম্যাচ হেরে যার খেসারত দিতে হয়েছে রেড ডেভিলদের।
‘জানতাম এটা ঘটতে পারে। আমাদের আরও ভালো করা উচিত ছিল। এটা পরিষ্কার যে ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস রাতারাতি আসবে না। আমাদের একটা খারাপ দিন গেছে। সেখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’
‘যদি আমাদের একজন প্রকৃত স্ট্রাইকার থাকত, তাকে খেলতাম। রোনালদো দলের প্রশিক্ষণে ১০ দিন হল যোগ হয়েছে। সে এখনও ৯০ মিনিট খেলার জন্য প্রস্তুত নয়। আমরা তাকে দিয়ে শুরু করিনি। আমাদের দুজন স্ট্রাইকার আছে, মার্শাল এবং রোনালদো, সম্ভবত তৃতীয় একজন র্যাশফোর্ড। আমরা তাকে স্ট্রাইকার হিসাবে বিবেচনা করছি, কিন্তু ফলস নাইন এখনও পাওয়া যায়নি।’