বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপেরর কারণেই সাগর উত্তাল রয়েছে। মাছ ধরার ট্রলারগুলো সাগর মোহনায় রয়েছে। চট্টগ্রাম কক্সবাজার মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নাম্বর স্থানীয় সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ আবদুল হামিদ মিয়া বলেন, ‘বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরো ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপ আকারে ভারতের উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের অদূরে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরো উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
সতর্ক সংকেত থাকায় কক্সবাজারে অবস্থান করা পর্যটকদের সমুদ্রস্নান কিংবা পানিতে নামার ক্ষেত্রে সর্তক করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফ গার্ড।
লাইফগার্ড কর্মী মো. ইউসুফ বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত পর্যটকদের নিরাপত্তায় সজাগ থাকি। সমুদ্রে ৩ নম্বর সিগন্যাল পড়েছে শুনে আমরাও সতর্ক হই। কোনো পর্যটক যাতে পানির গভীরে না যায় সেদিকে নিয়মিত খেয়াল রাখছি।’

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া জোয়ারের পানিতে কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙন হয়েছে। সবকিছু বিবেচনায় সাগর উত্তালের কারণে পর্যটকদের পানিতে নামতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে, এছাড়াও দর্শনার্থীদের সচেতনতায় নিয়মিত মাইকিং করা হচ্ছে।
কক্সবাজার জেলা বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ জানিয়েছেন, সাগর উত্থল থাকায় মাছ ধরার ট্রলার গুলো উপকূলের মোহনায় নোঙ্গররত অবস্থায় রয়েছে। কিছু কিছু ট্রলার আবার সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি ও নিচ্ছেন। সতর্ক সংকেত কেটে গেলে আবার ট্রলার গুলো মাছ ধরতে সাগরে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মহেশখালী, কুতুবদিয়া ,চকরিয়া ,উখিয়া ও টেকনাফ এলাকার জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, সাগর উত্তাল থাকার পাশাপাশি প্রচণ্ড বাতাস থাকায় জোয়ারের পানির স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।