এমনভাবে ফিরে আসতে কে না চাইবে! প্রিমিয়ার লিগে বোর্নমাউথকে ৯-০ গোলে বিধ্বস্ত করার আগে দুই ড্রয়ে মৌসুমে বাজে শুরু, সেটায় খানিকটা তেতো ঢেলে দিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে হার। কিন্তু অলরেডরা নিজেদের দুর্দান্ত রূপেই ফিরেছেন, গড়েছেন ইতিহাস। সেই সাফল্যকেও কিছুটা কাকতাল মনে করছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ।
লিভারপুলের বস মনে করেন, এমন গোলবন্যার ম্যাচ সচারচার ঘটে না। এমনকি সামনে আবার কবে ঘটবে সেটা নিয়েও জার্মান কোচের মনে শঙ্কা, ‘৯-০, এটা অদ্ভুদ ফলাফল। এটা সচারচার ঘটবে না। দারুণ কম্বিশনের দিনে আমরা এটা করেছি, এটা সম্ভবত আর ঘটবেই না। এটা খুব বেশি পরিমানের কাকতাল বিষয় ছিল।’
বোর্নমাউথের বিপক্ষে ৯-০ ব্যবধানের জয় লিভারপুলের ইতিহাসের বড় জয়। প্রিমিয়ার লিগেও এটি যৌথভাবে সবচেয়ে বড় জয়। ক্লপের ভাষ্যের ‘অসাধ্য’ কাজটি আগে তিনবার করেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (দুবার) ও লেস্টার সিটি। ১৯৯৫ সালে তারা ইপসউইচ টাউনের বিপক্ষে জিতেছিল ৯-০ গোলে। দ্বিতীয়বার ২০২১ সালে একই ব্যবধানে হারিয়েছে সাউদাম্পটনকে ২০২১ সালে। ২০১৯ সালে লেস্টার সিটি সাউদাম্পটনের জালে ঢুকিয়েছিল ৯ গোল।
প্রিমিয়ার লিগে ইতিহাস গড়ে খুশি ক্লপ। নিজেদের ফিরে পেয়েও উৎফুল্ল অলরেডদের কোচ। তবে তার মনে শঙ্কা ছিল, ‘তারা যদি একটা গোল করত, অসাধারণ এক বিকেলে সেটা তেতো স্বাদ এনে দিতো।’ ক্লপ বলেছেন, ‘নিজেদের প্রমাণ করার বিষয় ছিল। আমরা যেভাবে শুরু করেছি, ভালো লেগেছে। রক্ষণে আটকে থাকিনি, তাদের চাপে রেখেছি। দ্রুতই গোল পেয়েছি এবং গোল পাওয়ার জন্যই খেলে গেছি।’
অ্যানফিল্ডে রেকর্ড গড়ার রাতে রবার্তো ফিরমিনো করেছেন দুই গোল। ব্রাজিলিয়ান তারকার নামের পাশে আছে তিনটি অ্যাসিস্টও। দুটি গোল করেছেন লুইস দিয়াজ। একটি করে গোল এসেছে হার্ভি এলিয়ট, ট্রেন্ট অ্যালেক্সান্ডার-আরনল্ড, ভার্জিল ফন ডাইক ও ফ্যাবিও কারবাইয়ো। অন্যটি এসেছে ক্রিস মেম্পহামের আত্মঘাতীতে। ক্ষুধার্ত বাঘ কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে সেটাই কাল বুঝিয়ে দিয়েছে ক্লপের শিষ্যরা।