ম্যাচের ৮৭ মিনিট, নেইমারের বাড়ানো বল থেকে দারুণ শটে লিলের জালে বল পাঠিয়ে হ্যাটট্রিক আদায় করেন কিলিয়ানে এমবাপে। দারুণ এই গোলে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের ম্যাচে ৭-১ ব্যবধানে জয় তুলে পিএসজি আছে টেবিলের শীর্ষে। পিএসজির গোল উৎসবের ম্যাচে জোড়া গোলের দেখা পেয়েছেন নেইমারও। ১টি করে গোল করেছেন মেসি ও হাকিমি।
গত ম্যাচের পরপরই মেসি-নেইমার-এমবাপে ত্রয়ীর সম্পর্কের তিক্ততা নিয়ে কথা ওঠে গণমাধ্যমে। তবে মাঠে নেমে তার ছিটে ফোঁটাও সমর্থকদের বুঝতে দেয়নি সময়ের সেরা ত্রয়ী। ম্যাচ শুরুর ১ মিনিটের মাথায় মেসির বাড়ানো বলে বল জালে পাঠান এমবাপে। সেই থেকে শুরু যা চলেছে ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার আগ পর্যন্ত। পুরো ম্যাচে রক্ষণাত্মক কৌশল অবলম্বন করেও পিএসজির গোল উৎসব ঠেকাতে পারেনি লিলে।
প্রথম গোলের পর দ্বিতীয় গোল পেতে পিএসজি সময় নেয় ২৬ মিনিট। মেনডেসের বাড়ানো বল জালে পাঠান মেসি। এরপর ৩৯ মিনিটে নেইমারের বাড়ানো বলে গোল করেন হাকিমি। খানিক বাদেই গোল পান নেইমার। ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ফরাসি জায়ান্টরা।
বিরতি থেকে নেমে গোলের শুরুটা করেন নেইমার। তাকে বল বাড়িয়ে দিয়ে জোড়া গোল আদায় করতে সাহায্য করেন হাকিমি। এর দুই মিনিট পর এক গোল হজমও করতে হয় পিএসজিকে। পিএসজির অতি আক্রমণাত্মক ফুটবলের সুযোগ নিয়ে রক্ষণভাগ খালি পেয়ে দ্রুত সামনে ওঠে ব্যবধান কমান বামবা।
এরপর ফের ৬৬ মিনিটে নেইমারের বাড়ানো বল জালে পাঠান এমবাপে। লিলের জালে শেষ পেরেক ঠুকনে ৮৭ মিনিটে। এবারও অ্যাসিস্ট নেইমারের। তিক্ত সম্পর্কটা যে কেবল মাঠের বাইরে বুঝিয়ে দেন নেইমার-এমবাপে। ম্যাচে ৭-১ গোলে জয় পায় পিএসজি। দারুণ জয়ে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানান পিএসজি কোচ গালতিয়ের।
‘একটি দুর্দান্ত সন্ধ্যা ছিল। এ জয়ে আমি খুবই সন্তুষ্ট। ম্যাচে ফুটবলাররা অনেক মজা করেছিল যা দারুণ ব্যাপার। ফুটবলারদের মধ্যে দৃঢ় সংযোগ, সু-সম্পর্ক, দল হয়ে খেলার ইচ্ছা রয়েছে। তারা কেউ ব্যক্তিগতভাবে খেলে না। প্রথমার্ধেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমি দেখতে পেলাম ফুটবলাররা খুব কমই দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছিল। সবাই এই দুর্দান্ত জয়ে অবদান রেখেছে। আজ রাতটি পিএসজির জন্য একটি সুন্দর চিত্র।’