ঘড়ির কাটায় তখন বিকেল সাড়ে ৩টা। বিমানবন্দর থেকে বাফুফের পথে রওনা দেয় চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের ছাদখোলা বাস। গন্তব্য পৌঁছাতে অবশ্য তাদের দীর্ঘ সময়ই লাগছে।
রাস্তার দু-ধারের জন সমাগম প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। হাততালি আর স্লোগানে স্লোগানে গলা চড়ানো সমর্থকদের ভিড় ঠেলে বাস এগিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। বাংলাদেশ বাংলাদেশ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হচ্ছে রাজপথ।
বিকেল ৫টা ১৫ মিনিট অবধি মেয়েদের বহনকারী বাস কেবল মহাখালী ফ্লাইওভারে উঠতে পেরেছে। এর মাঝে দুই ফুটবলার অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদের অ্যাম্বুলেন্সে করে নেয়া হয়েছে হাসপাতালে।
ছাদখোলা বাসে থাকা সানজিদা-সাবিনারা অবশ্য সময়গুলো বেশ উপভোগ করছেন। বারবার হাত নেড়ে সবার অভিবাদন গ্রহণ করছেন তারা। কেউ কেউ জনতাকে লক্ষ্য করে ফুল ছিটিয়ে দিচ্ছে।
ট্রফি নিয়ে মারিয়া মান্ডা, তহুরা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমারা ফেসবুক লাইভে এসে আনন্দ ভাগাভাগি করছেন। চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপ থাকলেও জয়ের আনন্দকে তা ম্লান করতে পারেনি একটুও।
এর আগে দুপুর দেড়টার সময় নেপাল থেকে ফেরেন চ্যাম্পিয়নরা। বিমানবন্দরে ফুলেল শুভেচ্ছা, কেক কাটা শেষে ছাদখোলা বাসে বাফুফে ভবনের পথে রওনা হন তারা।
দেশের মাটিতে পা রাখার দেড়ঘণ্টা পর ছাদখোলা বাসে ওঠেন সাবিনা-কৃষ্ণারা। কিছুটা পথ নির্বিঘ্নে পার হওয়ার পর বনানী ফ্লাইওভারের কাছে এসে বাস পড়ে জ্যামের মুখে। উৎসুক জনতার ভিড়ের মধ্যে তারপর থেকে খানিক বিরতি দিয়ে এগোচ্ছে লাল-সবুজদের বাস।
তহুরা-রূপনাদের ছাদখোলা বাসটি কাকলি, জাহাঙ্গীর গেট হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে দিয়ে বিজয় সরণী-তেজগাঁও-মৌচাক ঘুরে কাকরাইল যাবে। সেখান থেকে ফকিরাপুল, আরামবাগ, শাপলা চত্বর দিয়ে মতিঝিলে বাফুফে ভবনে পৌঁছবে।
বাফুফেতে চ্যাম্পিয়ন কন্যাদের বরণ করবেন দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটির প্রধান কাজী সালাউদ্দিন। হবে ফটো সেশন। শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হবে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরা লাল-সবুজের দল।