বিরাট কোহলি সবশেষ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন হাজার দিনেরও বেশি সময় আগে। ২০১৯ সালের নভেম্বরের পর আবারও আনলেন দু-হাত শূন্যে তুলে উদযাপনের উপলক্ষ। তার প্রথম টি-টুয়েন্টি শতক। তাতে কেটে গেল সেঞ্চুরি খরা, অবসান হল হরেক আলোচনা-সমালোচনার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভারতও পেল ২১৩ রানের বড় সংগ্রহ।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিয়মরক্ষার ম্যাচে নেমেছে ভারত-আফগানিস্তান। এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের আসর থেকে বিদায় নেয়ার পর সুপার ফোরে নিজেদের শেষ ম্যাচে দাপটই দেখাল ভারত। সঙ্গে বোনাস আফগানদের শক্ত বোলিং লাইনআপের বিপক্ষে কোহলির এক বহুল ‘কাঙ্ক্ষিত’ শতক, ৬১ বলে অপরাজিত ১২২ রানের ইনিংস।
আফগানিস্তানের স্পিন কিংবা পেস, রশিদ-মুজিব হয়ে ফরিদ-ফারুকি, সবাইকে বাজে দিন উপহার দিয়েছে ভারতের ব্যাটাররা। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে দলটি তোলে ১১৯ রান। কোহলিকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তনে নামেন এদিনের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল।
রোহিত শর্মা না থাকার দিনে নেতা রাহুল ফিরে পেয়েছেন নিজের ফর্ম। ৪১ বলে ৬টি চার ও দুটি ছক্কায় করেছেন ৬২ রান। তিনে নেমে সূর্যকুমার যাদব খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটের অন্যতম ব্যাটার ২ বল খেলে করে যান ৬ রান। পরে ৭ ওভারে ৮৭ রানের জুটি গড়েন কোহলি ও রিশভ পান্ট।
শেষ পাঁচ ওভারে দুজনে ওভারপ্রতি তোলেন প্রায় ১৬ রান করে। ১৬ বলে ৩ চারে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন পান্ট। আর শতরান তোলা কোহলি খেলেন ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ৬১ বলের ইনিংস সাজান ১২টি চার ও ৬টি ছক্কায়। সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার খেলেছেন দুইশ স্ট্রাইক রেটে। ৫৩ বলে তিনঅঙ্ক ছোঁয়ার দিনে কোহলি মোট হাঁকিয়েছেন ১২ চার ও ৬ ছক্কা।
কোহলির দিনে বোলিংয়ে আফগানদের প্রায় সব বোলার ভুগেছেন। ৪ ওভারে ৫৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন ফরিদ আহমেদ। ৩৩ রান দিলেও উইকেট শূন্য ছিলেন রশিদ খান। ২৯ রান খরচ করেও সাফল্য পাননি মুজিব উর রহমান।