রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক আজ ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপ দ্বারা পরিচালিত হতে যাচ্ছে। এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে আলোচনায় এসেছে ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের কয়েকটি বিখ্যাত অলঙ্কার। এরমধ্যে কোহিনূরখচিত সেই মুকুটও রয়েছে।
কোহিনূরখচিত মুকুটটি রানীর মাথার মুকুট হলেও আজকের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে এই মুকুটটি মাথায় পরছেন না কুইন কনসোর্ট ক্যামিলা পার্কার। কারণ তিনি রাজার সহধর্মিণী, সিংহাসনের অধিকারী নন। কোহিনূর হীরা কেবল সিংহাসনের অধিকারী রানীরাই মাথায় ধারণ করতে পারেন, যেমনটি করেছিলেন প্রয়াত রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
এই কোহিনূর হীরাটি ১৮৪৯ সালে ১০ বছর বয়সী মহারাজা দুলীপ সিং ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে উপহার দিয়েছিলেন। এ নিয়ে অবশ্য বিভিন্ন মত প্রচলিত রয়েছে। পরবর্তীকালে হীরাটি রানীর মুকুটে স্থাপন করা হয়। তবে এই মুকুটটি চার্লসের রাজ্যাভিষেকের সময় দেখা যাবে না।
ব্রিটিশ রাজপরিবারে কথিত আছে, কোহিনূর নামক এই হীরাটি অভিশপ্ত। প্রতিবারই এই হীরাটির মালিকরা কোনো না কোনো কারণে করুণ পরিণতির শিকার হয়েছিলেন। এ কারণে ব্রিটিশ রাজপরিবার এই হীরাটির মালিকানা প্রাপ্তির পর তৎকালীন রাণী ভিক্টোরিয়া একটি আইন জারি করেছিলেন।
যেখানে বলা হয়, শুধুমাত্র রাজপরিবারের রাণীরাই এই হীরাটি তাদের মুকুটে ব্যবহার করতে পারবেন, রাজারা নয়। কারণ ব্রিটিশদের হাতে আসার আগে এই হীরাটির সব মালিকই ছিল রাজা না হয় সম্রাট। সব মালিকই তথাকথিত অভিশাপের শিকার হয়েছিল বলে মনে করা হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, মহাত্মা গান্ধীর বংশধরসহ ভারতীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা কোহিনূর হীরাকে আবার ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য এখনও ব্রিটিশদের চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে। তবে উপহার হিসেবে পাওয়া মহামূল্যবান এই রত্নকে ফিরিয়ে দিতে নারাজ ব্রিটিশ রাজপরিবার।