পরিবারের পছন্দের আত্মীয়কে বিয়ে না করায় তরুণীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সামাঁ আব্বাস নামের ইতালির ওই নাগরিকের মা-বাবা এবং কাকার বিরুদ্ধে তাকে হত্যার অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে দেশটির উচ্চ আদালত।
বৃহস্পতিবার ২১ ডিসেম্বর ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাঁ আব্বাসকে হত্যার অভিযোগে তার মা-বাবা ও কাকাকে আগেই আটক করে পুলিশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনার সূত্রপাত ওই তরুণীর বিয়ে ঘিরে। ২০২২ সালে নভেম্বর মাসে সামাঁ আব্বাসের লাশ উদ্ধার হয় ইতালির একটি মাঠে, যে এলাকায় তার বাবা কর্মরত ছিলেন। সামাঁর পরিবার ইতালিতে আসে পাকিস্তান থেকে। উত্তর ইতালিতে তাঁদের বসবাস। ২০২২ সালে সামাঁর বয়স ছিল ১৮ বছর। শেষবার সমাঁকে দেখা গিয়েছিল ওই মাঠের কাছে। সেখানে তিনি তার বাবা মায়ের সাথে গিয়েছিলেন। সেই ঘটনার ভিডিও রয়েছে। এরপর থেকে খোঁজ পাওয়া যায়নি সামাঁর। তার কিছু দিন পর সামাঁর লাশ উদ্ধার হয় ওই মাঠ থেকে।
ইতালির আদালতে সরকার পক্ষের আইনজীবীর দাবি, সামাঁকে সেখানে খুন করে তার পরিবার। আর খুনটি হয়েছে ২০২১ সালে। সেই বছরের মে মাসে সামাঁকে খুন করে তার পরিবার পালিয়ে যায় মিলানে। মিলান থেকে তারা পালায় পাকিস্তানে। সামাঁকে খুনের দায়ে তার বাবা সাব্বার আব্বাস ও মা নাজিয়া শাহিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়। এছাড়াও তার কাকা দানিশ হাসনেইনকে ১৪ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়।
জানা যায়, সামাঁর দুই আত্মীয় ভাইকে এই মামলায় বেকসুর খালাস করা হয়। উল্লেখ্য, সামাঁকে তার এক ভাইয়ের সাথে বিয়ে করতে চাপ দিতে থাকে তার পরিবার। তার জেরেই পরিবারের সাথে সামাঁর সংঘাত।