পরিবারের খরচ মেটাতে বন্ধুকে অপহরণ করেছেন শচীন নামের এক ব্যক্তি। পরে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে তাকে হত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, দিল্লির শচীন আর্থিক সংকটের জন্য তার বন্ধু নিতিনকে হত্যা করেন।
পুলিশ বলেন, মোটরসাইকেলের কিস্তি পরিশোধ এবং পরিবারের আর্থিক সংকটের কারণে তার বন্ধু নিতিনকে অপহরণ করেন। পরে তিনি নিতিনের পরিবারের কাছে প্রায় তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
শচীন ২০১৮ সাল থেকে নিতিনকে চিনতেন বলে জানা যায়। তাদের মাঝে খুব ভালো বন্ধুত্ব ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ১৫ দিন আগে শচীন তার অন্য বন্ধু অরুণের সাথে তার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। তারা জানতেন, নিতিনের পরিবার উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে একটি বাড়ির মালিক। এছাড়াও তারা বিশ্বাস করতেন, খুব সহজে নিতিনের পরিবার থেকে তিন লাখ টাকা পেয়ে যাবেন
১৯ সেপ্টেম্বর শচীন নিতিনকে তার বাড়িতে মদপানের জন্য আমন্ত্রণ জানান। আগে থেকেই অরুণ অবস্থান করছিলেন শচীনের বাড়িতে। এরপর তারা মদ কিনতে গাজিয়াবাদে যান এবং রেললাইনের পাশে মদ পান করেন। পরে দিল্লিতে ফেরার সময় অরুণ ও শচীন নিতিনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। পরে তার লাশ পাশে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেন।
পরের দিন নিতিনের বাসায় ফোন করে তার বোনের সাথে কথা বলেন শচীন ও অরুণ। তারা বলেন, নিতিনকে তারা অপহরণ করেছেন এবং মুক্তির জন্য তিন লাখ টাকা দাবি করেন।
পরে নিতিনের পরিবার পুলিশে খবর দিলে শচীনকে গ্রেপ্তার করেন। শচীনকে রাজস্থানের গঙ্গা নগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর গাজিয়াবাদের ঝোপ থেকে নিতিনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশের অরুণকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানায় পুলিশ।