রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, দেশের সাধারণ জনগণকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা দিতে সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে জনগণকে কিডনি রোগের ব্যয়বহুল চিকিৎসা সেবা দিতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি ৯ মার্চ ‘বিশ্ব কিডনি দিবস’ উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে একথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ‘কিডনি’ রক্তে জমে থাকা আবর্জনা ও অতিরিক্ত পানি বের করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, রক্তের লোহিত কণিকা তৈরি এবং হাড় শক্ত করে।
আবদুল হামিদ বলেন, পৃথিবীতে বিপুল সংখ্যক মানুষ নীরবঘাতক কিডনি রোগে আক্রান্ত। বিশেষজ্ঞদের মতে অনিয়ন্ত্রিত ও অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ব্যথানাশক ও এন্টিবায়োটিক ওষুধের সঠিক ব্যবহার, খাদ্যে ভেজাল এবং স্থুলতার কারণে কিডনি রোগের প্রকোপ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশে কিডনি রোগের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। তাই প্রতিকারের পাশাপাশি কিডনি রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি খুবই দরকার।
রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা করেন, ‘বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশন’ দেশে কিডনি রোগের সর্বাধুনিক চিকিৎসার প্রসারে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।