গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সেনার হামলার বিষয়ে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, গাজায় ইসরায়েল সেনাদের অবরোধ এবং হামলা চলতে থাকলে প্রত্যাঘাত করবে মুসলিম বিশ্ব।
মঙ্গলবার ১৭ অক্টোবর ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাস ও ইসরায়েল সংঘাতের এগারতম দিনে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক বক্তৃতায় খামেনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনতার বিরুদ্ধে ইহুদি শাসকদের অত্যাচার অব্যাহত থাকলে কেউ মুসলিম বিশ্বের প্রতিরোধ শক্তির মোকাবিলা করতে পারবে না। গাজায় বোমাবর্ষণ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।’
গাজা সীমান্তে হামাসের আল কাশিম ব্রিগেড এবং ইসরায়েলি সেনার সংঘর্ষের চতুর্থ দিনে, গত ১০ অক্টোবর প্রথম ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমে বক্তৃতা দিয়েছিলেন খামেনি। তিনি ইসরায়েলে হামলাকারী হামাস বাহিনীকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, ‘ফিলিস্তিনবাসীর জন্য আমি গর্বিত।’
সেই সাথে তিনি দাবি করেছিলেন, ৭ অক্টোবরের ভোরে গাজা সীমান্তবর্তী ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের ধারাবাহিক রকেট হামলায় ইরানের কোনও মদত নেই। এ বার সরাসরি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে আমেরিকা জানিয়েছিল, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে তেহরান জড়ালে তার পরিণাম খারাপ হবে।
হিজবুল্লার সাথে ইতোমধ্যে লেবানন সীমান্তে ইসরায়েল ফৌজের লড়াই শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার ভোরে লেবানন সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েল ভূখণ্ডে হামলা চালাতে গিয়ে চারজন হিজবুল্লা যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলে তেল আভিভের দাবি। এই পরিস্থিতিতে খোমেইনির মুখে ‘মুসলিম বিশ্বের প্রত্যাঘাতের’ হুঁশিয়ারি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী হোসেন আমির আবদোল্লাহিয়ান সোমবার ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ইহুদি আগ্রাসন বন্ধ না হলে ওই এলাকায় আমাদের সকলের বন্দুক তাক করা আছে।’ এ বার সেই দেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার মুখে শোনা গেল একই হুমকি।