তৃতীয় দিনেই জয়ের অনেকটাই কাছে চলে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চতুর্থ দিনের সকালটা ছিল আনুষ্ঠানিকতার। সেটি সারতে একদমই সময় নেননি জন ক্যাম্পবেল ও জারমেইন ব্ল্যাকউড। ৩০ মিনিটের মধ্যে তুলে নেন ৭ উইকেটের জয়। বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরটা শুরু হলো হতাশার হারে।
৯ রানে তিন উইকেট হারানোর ক্যাম্পবেল ও ব্ল্যাকউড করেছেন দারুণ ব্যাটিং। ৭৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে শেষটায় হেসেখেলেই জিতেছে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ। অ্যান্টিগায় চতুর্থ দিনে জয় থেকে ৩৫ রান দূরে ছিল ক্যারিবীয়রা। যা করতে লাগে আর ৭ ওভার। ক্যাম্পবেল ৫৮ ও ব্ল্যাকউড ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
ইনিংস হারের শঙ্কা থেকে লড়াই করে জয়ের আশাও জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়ের অনেকটা কাছেই চলে যায় তৃতীয় দিনের খেলা শেষে। সিরিজের প্রথম টেস্টে ক্ষনিকের জন্য হলেও ম্যাচে ফিরতে পারাটা রাত জেগে খেলা দেখা বাংলাদেশি সমর্থকদের জন্য কম আনন্দের নয়। এজন্য কৃতিত্ব দিতে হয় খালেদ আহমেদকে। নতুন বল হাতে নিয়েও ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন এ পেসার। করেন ম্যাজিক্যাল স্পেল। যার শুরুটা জোড়া শিকারে।
অ্যান্টিগা টেস্টের তৃতীয় দিনটি ছিল বেশ নাটকীয়। সাকিব আল হাসান ও নুরুল হাসান সোহানের অসাধারণ এক জুটির পর বল হাতে জ্বলে উঠেছিলেন খালেদ। ৯ রানের মধ্যে একাই তুলে নেন ক্যারিবীয়দের তিন উইকেট।
অন্য পাশে মোস্তাফিজ-ইবাদতরা আরেকটু ধারালো হতে পারলে নাটকীয় কিছু ঘটতেই পারত। ৮৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা উইন্ডিজ ব্যাটারদের যেভাবে একের পর এক আউট করছিলেন খালেদ তাতে প্রত্যাশা হুট করেই আকাশ ছুঁয়েছিল।
ক্যাম্পবেল ও ব্ল্যাকউড সেটি হতে দেননি। তাদের প্রতিরোধে ৩ উইকেটে ৪৯ রানে যায় গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর জয়ের সকালে দ্রুত রান তোলায় মনোযোগী হন দুজন।
তৃতীয় দিনের সকালটাও ছিল হতাশার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের তোপে ৪ উইকেট হারায় প্রথম সেশনে। পরের সেশনে আর উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। সাকিব-সোহান গড়ে তোলেন শতরানের জুটি।
ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কা কাটিয়ে সাকিব-সোহান যেভাবে ব্যাট করছিলেন তাতে মনে হচ্ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উল্টো চ্যালেঞ্জে ফেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। জুটিটা আরও দীর্ঘ হয়নি। বাংলাদেশও পারেনি বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিতে।
ছোট লক্ষ্যেই বড় চ্যালেঞ্জে পড়েছিল ওয়েষ্ট ইন্ডিজ। ব্র্যাথওয়েট, বোনার, রেইফার একে একে ফেরেন শুরুতেই। পড়ে বিপর্যয় সামলে নেয় স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ দল তোলে ২৪৫ রান। ১০৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর সাকিব-সোহানের ১২৩ রানের জুটি পথ দেখায় বাংলাদেশকে।
দুজনই ফিফটি পেরিয়ে আউট হন। সাকিব ৬৩ ও সোহান করেন ৬৪ রান। পর পর তারা বিদায় নিলে আড়াইশর আগেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
উইন্ডিজ পেসার কেমার রোচ ৫৩ রানে নেন ৫ উইকেট। আলঝারি জোসেফ তিনটি ও কাইল মেয়ার্স নেন দুটি উইকেট।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় ১০৩ রানে। সাকিব করেন ৫১ রান। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৬৫ রানে থামে। ১৬২ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিং শুরু করে বাংলাদেশ।