রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আবু আনছার এই আবেদন করেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ‘আসামি শামসুজ্জামান জামিনে মুক্তি পেলে তদন্তে বিঘ্ন ঘটতে পারে।’
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, “আইনজীবী মশিউর মালেকের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা, রিমান্ডের কোনো আবেদন করা হয়নি।”
তবে এ মামলায় জামিন চেয়ে শামসুজ্জামানের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার আবেদন করেন।
দুপুর ২টার দিকে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে জামিন আবেদনের বিষয়ে শুনানি হবে।
এর আগে সকালে অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা সিআইডি পরিচয়ে সাভারের বাসা থেকে ‘তুলে নেওয়ার’ ৩০ ঘণ্টা পর শামসুজ্জামানকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।
বুধবার ভোররাতে ‘তুলে নেওয়ার’ পর শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলার কথা জানিয়েছিল পুলিশ। এরপর বুধবার মধ্যরাতে তার বিরুদ্ধে একই আইনে রমনা থানায় আরেকটি মামলা হয়।
দুই মামলাতেই ‘মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর’ তথ্য প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা হয়েছে। প্রথমটি তেজগাঁও থানায়, দ্বিতীয়টি রমনা থানায়। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এ মামলার প্রধান আসামি।
২৬ মার্চ প্রথম আলো অনলাইনের একটি প্রতিবেদন ফেসবুকে প্রকাশের সময় দিনমজুর জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ‘কার্ড’ তৈরি করা হয়। সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে দিনমজুর জাকির হোসেনের নাম থাকলেও ভুল করে ছবি দেওয়া হয় একটি শিশুর। পোস্ট দেওয়ার ১৭ মিনিটের মাথায় প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের অসংগতি নজরে আসে এবং দ্রুত তা প্রত্যাহার করা হয়।
পাশাপাশি প্রতিবেদন সংশোধন করে সংশোধনীর বিষয়টি উল্লেখসহ পরে আবার অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনের কোথাও বলা হয়নি যে উক্তিটি ওই শিশুর; বরং স্পষ্টভাবেই বলা হয়েছে, উক্তিটি দিনমজুর জাকির হোসেনের।