কখনো সাক্ষাৎ না হলেও জয়া আহসানের সিনেমা ভীষণ পছন্দ করেন কলকাতার তারকা অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জী। তার প্রায় অধিকাংশ ছবিই দেখেছেন। তারমধ্যে জয়ার একটি সিনেমা দেখে অঝোরে কাঁদতে বাধ্য হয়েছেন এই নায়িকা!
এমন অকপটেই সমকালীন অভিনেত্রী জয়া আহসান সম্পর্কে বলেছেন স্বস্তিকা। কোন সিনেমা নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন স্বস্তিকা? তা জানার আগে বলে নেই, প্রথমবারের মতো সম্প্রতি দুই বাংলার এই মেধাবী দুই অভিনেত্রী একসঙ্গে ফ্রেমবন্দি হয়েছেন! যে খবর গেল সপ্তাহেই তাদের ভক্ত অনুরাগীরা জেনেছেন।
এবার ফ্রেমবন্দি হওয়ার পেছনের গল্প, তাদের সাক্ষাৎ আর খুনসুটির গল্পও প্রকাশিত। মূলত ‘দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ এর ম্যাগাজিন ‘ইনডালজ’র জন্যই প্রথমবার একসঙ্গে হলেন জয়া ও স্বস্তিকা। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে নতুন ফটোশুটে ম্যাগাজিনটির প্রচ্ছদে ঠাঁই করে নিয়েছেন জয়া-স্বস্তিকা।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) ম্যাগাজিনটি বাজারে এসেছে। অনলাইনেও তাদের ফটো ফিচারটি প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে এই দুই অভিনেত্রী কথা বলেছেন মন খুলে।

প্রায় দশ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের সিনেমায় নিয়মিত অভিনয় করছেন বাংলাদেশের তারকা অভিনেত্রী জয়া আহসান। উপহার দিয়েছেন বেশকিছু দর্শকপ্রিয় ও প্রশংসিত ছবি। তারপরও কেন স্বস্তিকা-জয়ার দেখা হলো না, এমন প্রশ্নও ছিলো সেখানে।
এ প্রসঙ্গে স্বস্তিকা বলেন, আমি খুব অসামাজিক। ইভেন্টগুলোতে খুব একটা যাওয়া হয় না। আমার তো মনে হয়, জয়াও এসবে খুব একটা যান না। তাছাড়া জয়াকে অন্য দেশ থেকে আসতে হয়। আমার মনে হয়, এসব কারণেই এর আগে আমাদের কখনও দেখা হয়নি।
দেখা না হলেও এসময় জয়ার সিনেমা ও তার অভিনয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন স্বস্তিকা। তিনি বলেন, আমি তার অভিনয় প্রতিভার বিশাল ভক্ত এবং জয়ার বেশিরভাগ সিনেমাই আমার দেখা। আবর্ত, বিসর্জন, বিনি সুতোয়, রবিবার, এক যে ছিলো রাজা এবং রাজকাহিনী- এই সবই আমি দেখেছি। তার বিসর্জন দেখে প্রচুর কেঁদেছিলাম।
ওই সাক্ষাৎকারে স্বস্তিকা জানান, অনেক নির্মাতাকে তিনি এমন চিত্রনাট্য তৈরী করতে বলেছেন, যেখানে জয়ার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ তৈরী হয়!
এসময় স্বস্তিকাকে জয়া প্রশ্ন করেন, আসলেই তুমি বলেছো? জবাবে স্বস্তিকা বলেন, হ্যাঁ,কিন্তু এখানে হয়নি। বরং তুমি বাংলাদেশি কোনো নির্মাতাকে এ বিষয়ে বলতে পারো, যেখানে আমরা একসঙ্গে একটি সিনেমায় কাজ করতে পারি!