বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন জামাল ভূঁইয়া। লাল-সবুজদের কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা পাশের আসনেই ছিলেন। মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচের আগে উঠল ভিন্ন প্রসঙ্গও। আর্জেন্টিনার ফুটবল লিগে খেলতে যাওয়ার অভিজ্ঞতাও তুলে ধরতে হল জামালকে।
ইতিহাস, ঐতিহ্য, পেশাদারিত্ব ও সামর্থ্য- কোনকিছুতেই বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ধারেকাছে নেই বাংলাদেশ। সহজ এ বাস্তবতা সবারই জানা। এরই মাঝেই অবশ্য টাইগার অধিনায়ক খুঁজে পাচ্ছেন অনুপ্রেরণা। নিজ দেশ তো বটেই, এশিয়া অঞ্চলের অনেক ফুটবলার তার পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন বলে আশাবাদী তারকা মিডফিল্ডার।
মেসির দেশের তৃতীয় স্তরের পেশাদার লিগ টর্নিও ফেডারেল এ-তে সোল ডে মায়োর হয়ে খেলে আসা জামাল জানালেন, ‘আর্জেন্টিনার ফুটবলটা একেবারেই ভিন্ন। বাংলাদেশ তথা এশিয়ার ফুটবল খুবই ফিজিক্যাল। সংস্কৃতির অনেক তফাৎ আছে। আমাকে এসবের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়েছে। এটা আমার জন্য ইতিবাচক। আশা করি এশিয়ার অনেককেই অনুপ্রাণিত করতে পারবো। আমার পথ অনেকেই অনুসরণ করতে পারলে ভালো হবে।’
২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাইপর্বে এশিয়া অঞ্চলের প্রথম রাউন্ডের প্লে-অফে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে মালদ্বীপে আছে বাংলাদেশ দল। ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষকে শক্তিশালী মেনে ভালো কিছুর প্রত্যাশায় জামাল।
‘ইতিবাচক মনোভাব বিরাজ করছে। মালদ্বীপে বসবাসরত বাংলাদেশিরা আমাদের দলকে সমর্থন করছে। একইসঙ্গে এটা মালদ্বীপের ঘরের মাঠ। অবশ্যই পরিবেশটা আমাদের জন্য কঠিন। মাঠে পারফর্ম করতে হবে। কাল আমাদের সেরাটাই দেবো।’
গত কয়েকবছরে মালদ্বীপের বিপক্ষে বাংলাদেশের ফল ভালো নয়। যদিও সর্বশেষ দেখায় দ্বীপ রাষ্ট্রটিকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। বেঙ্গালুরুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মালদ্বীপকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালের রাস্তা পরিষ্কার করেছিল ক্যাবরেরার দল। তবুও ম্যাচের আগেরদিন বুধবার সংবাদ সম্মেলনে মালদ্বীপকে নিয়ে বেশ সতর্ক বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ।
‘সাফে এবং আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলার পর ভালো মুহূর্ত চলছে। প্রতিপক্ষকে ভালোভাবেই চিনি। মালদ্বীপের সঙ্গে অতি-আত্মবিশ্বাসী হলে ঝামেলা হতে পারে। আমরা সচেতন আছি। তারা কতটা সামর্থ্য রাখে ভালো করেই জানি। কালকের ম্যাচ নিয়ে নিজেদের উপর আস্থা থাকলেও সতর্ক থাকছি। মালদ্বীপ দলের প্রতি যথেষ্ট সম্মান আছে। আমরা কাল এগিয়ে যেতে চাই।’
১২ ও ১৭ অক্টোবরের অ্যাওয়ে এবং হোম ম্যাচে জয়ের ধারায় থাকতে পারলে বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করছে আরও ছয় ম্যাচ। বাছাইপর্বের সেই গ্রুপ ম্যাচগুলো অস্ট্রেলিয়া, ফিলিস্তিন ও লেবাননের বিপক্ষে পড়বে।
ক্যাবরেরার ভাষ্য, ‘বিশ্বকাপ বাছাইয়ের গ্রুপপর্বে খেলতে দলের সামনে এগোনোর ভালো সুযোগ আছে। দুদলের জন্যই ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। কালকের খেলা নিয়ে সামনের দিকে তাকাতে চাই। আমরা রোমাঞ্চিত ও উজ্জীবিত আছি। আশা করি ভালো কিছু করেই ঢাকায় ফিরবো।’
‘অনেক খেলোয়াড়ের সাথেই কাজ করেছি, যারা দলে আছে। আফগানিস্তান ও এশিয়ান গেমসে খেলা অনেকে নিজেদের সামর্থ্য দেখিয়েছে। বাছাইপর্বে খেলতে তারা প্রস্তুত। এই দল নিয়েই লক্ষ্য অর্জন করতে হবে।’