আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অব্যাহতভাবে নির্বাচনকে বর্জন ও প্রতিরোধের সংস্কৃতি লালন করলে গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়ে।
তিনি বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক সরকার রাষ্ট্র চালাচ্ছে। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা কিংবা গণতন্ত্রকে সংহত করা কোনো একক রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব নয়। সমস্ত রাজনৈতিক দলের সম্মিলিত দায়িত্ব হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখা।
বুধবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ইউএসএইড এবং বেসরকারি আন্তর্জাতিক সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত রাজনৈতিক ই-প্রশিক্ষণ প্লাটফর্ম পলিটিক্সম্যাটারসডটকমডটবিডি ( politicsmatters.com.bd) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের চীফ অভ পার্টি ডানা এল. ওল্ডসের সভাপতিত্বে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আমাদের গত ৫০-৫১ বছরের ইতিহাসে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা তখনই হুমকির মুখে পড়েছে যখন অস্ত্র উঁচিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা হয়েছে এবং সেই ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে, বলেন ড. হাছান মাহমুদ। দেশের কল্যাণে রাজনীতিসহ সকল অঙ্গনে সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, সাংঘর্ষিক রাজনীতি এবং সবকিছুতে না বলার যে রাজনীতি-সংস্কৃতি আমাদের রাজনীতিতে তিক্ততা বাড়িয়েছে, এটি থেকে বেরিয়ে আসতে পারলে পরিবেশ সৌহার্দপূর্ণ হবে। সুতরাং আমি আশা করবো যে, আগামী নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশ গ্রহণ করবে এবং একটি অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে আগামী সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ সম্পর্কে ড. হাছান বলেন, দেশ ও সমাজের উন্নয়নে দেশাত্মবোধ, মানবিকতা এবং মমত্ববোধ জাগরণে রাজনৈতিক কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। রাজনীতির কর্মীরা অনেকেই জানে না যে রাজনীতি একটা ব্রত। এসময় সদ্যপ্রকাশিত ই-প্রশিক্ষণ প্লাটফর্মের উদ্যোক্তাদের প্রশংসা করেন তিনি।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন: আমি যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা থেকে জানি যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা একটি জটিল কাজ।কিন্তু সমাজের প্রতিটি অংশের (কল্যাণের) জন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজন রয়েছে।
এ লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে সরকার, গণমাধ্যম থেকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, নাগরিকসমাজ থেকে রাজনৈতিক দল, সবারই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার প্রয়োজন।যদি তাদের কেউ একজন নিজের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়- কিংবা তাদের কেউ যদি অন্যকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়, তাহলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য পলিটিক্স ম্যাটারস ই-প্লাটফর্ম রাজনৈতিক প্রশিক্ষণে ৮টি কোর্স চালু করেছে।