জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি পুলিশের অভিযানের পর ইসরায়েলে রকেট হামলা হয়। পাল্টা জবাব হিসেবে লেবানন ও গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলার পরে ইসরায়েলেও একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাতে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন বিদেশি পর্যটকও রয়েছে।
শনিবার (৮ এপ্রিল) সংবাদ সংস্থা রয়টার্স প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
লেবানন ও গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলার এক দিন পরেই তেল আবিবে ও দখলকৃত পশ্চিম তীরে দু’টি হামলার ঘটনা ঘটে। এসব হামলায় একজন ইতালির নাগরিক ও দুই ব্রিটিশ-ইসরায়েলি নারী নিহত হয়েছে। পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে গাড়ি হামলাকারীও।
এই সপ্তাহে জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি পুলিশের অভিযানের পর গাজা এবং লেবাননে আন্তঃসীমান্ত হামলার ঘটনা ঘটে। ফলে ইসরায়েলি-প্যালেস্টাইনের মাঝে উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে।
যাইহোক, দু’টি হামলার মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে ক্রমাগত রাতের ঝামেলার পরেও পরিস্থিতি কতটা অস্থির থাকে, যা বিশ্বব্যাপী অ্যালার্ম তৈরি করেছে। এছাড়াও রাশিয়াসহ আন্তর্জাতিকভাবে তাদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, তেল আবিবের একটি সৈকতের কাছে গাড়ি হামলা চালানো হলে ইতালির একজন পর্যটক নিহত হন। সেই সময় আহত হয়েছে আরও অন্তত সাতজন। পুলিশের গুলিতে হামলাকারীও সেই সময়ে নিহত হয়। এর আগে দখলকৃত পশ্চিম তীরে একটি হামলায় দুই ব্রিটিশ-ইসরায়েলি নারী নিহত আর তাদের মা গুরুতর আহত হন।
ইফরাত বসতির মেয়র জানান, দু’বোন এবং তাদের মা যুক্তরাজ্য থেকে অভিবাসী হয়ে ইসরায়েলে এসেছিলেন। সেখানেই বসবাস করতে শুরু করেছিলেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ওই এলাকার সড়কগুলো ব্লক করে দিয়ে হামলাকারীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। দক্ষিণ লেবানন এবং গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো হামলা শুরু করার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে এসব হামলার ঘটনা ঘটলো।