২০১৬ আইপিএলে এক মৌসুমে চার সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। এরপর দীর্ঘ দিন তা অক্ষত ছিল। চলতি আসরে সেই রেকর্ডে ভাগ বসাতে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকেই বেছে নিয়েছেন জস বাটলার। মৌসুমে চতুর্থ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে ফাইনালে তুলেই মাঠ ছেড়েছেন ইংলিশ তারকা।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বেঙ্গালুরু দেয়া ১৫৮ রানের টার্গেট ১১ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই পৌঁছে যায় রাজস্থান। ৬০ বলে ৬ ছক্কা ও ১০ চারে ১০৬ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের হাইলাইটস বাটলার।
চলতি আসর জুড়েই হেসেছে তার ব্যাট। এর আগে ৩ সেঞ্চুরি তুলে বিরাটের এক মৌসুমে চার সেঞ্চুরির ধার প্রান্তে ছিলেন। প্রথম কোয়ালিফায়ারে গুজরাটের বিপক্ষে ৮৯ রানে আউট হয়ে ফিরলে কেবল অপেক্ষা বাড়ে। পরের ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে কোহলির রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন ৩১ বর্ষী।
এক মৌসুমে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডে ছুটছেন কোহলি ও ডেভিড ওয়ার্নারের পিছনে। ২০১৬ সালে এক মৌসুমে কোহলি করেছিলেন ৯৭৩ রান। যা এখন পর্যন্ত আসর সর্বোচ্চ। এরপর রয়েছেন অজি তারকা ওয়ার্নার। একই আসরে ৮৪৮ রান তুলে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি। অন্যদিকে তৃতীয় স্থানে থাকা বাটলারের সংগ্রহ এখন পর্যন্ত ৮২৪।
কোহলিকে টপকাতে ফাইনালে দারুণ কিছুই করে দেখাতে হবে তাকে। ১৫০ ঊর্ধ্ব ইনিংস খেললে রেকর্ডের মালিক হবেন তিনি। চলতি মৌসুমে তলোয়ারের মতো ব্যাট চালিয়ে প্রতিপক্ষের বোলারদের যেভাবে কচু কাটা করছেন তাতে ভয় থাকছেই গুজরাট টাইটান্সের।
আইপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৬ সেঞ্চুরি এসেছে ক্রিস গেইলের ব্যাট থেকে। সব মিলিয়ে ৫ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে যৌথভাবে তার পরেই রয়েছেন বাটলার ও কোহলি। ফাইনালে ক্ষিপ্ততা বহাল থাকলে সব রেকর্ড চূর্ণ করে দিতে পারে বাটলারের ব্যাট।
‘আমি খুব কম প্রত্যাশা নিয়ে এই মৌসুমে এসেছিলাম। কিন্তু টুর্নামেন্টের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও উত্তেজনায় আমাকে এত দূর এনেছে। দুর্দান্ত একটি দলের সাথে মৌসুমটি কাটিয়েছি এবং নিজেদেরকে ফাইনালে তোলতে পারা আমার কাছে বিশেষ।’