রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে আসর শুরু করেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও বজায় রেখেছে সেই ধারাবাহিকতা। গুজরাট টাইটান্সকে হারিয়েছে ৬৩ রানে।
প্রথম ম্যাচের মত গুজরাটের বিপক্ষেও দারুণ করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। চার ওভার বল করে ৩০ রান খরচায় নিয়েছেন দুটি উইকেট। ফিরিয়েছেন রশিদ খান ও রাহুল তেওয়াতিয়াকে। এখন পর্যন্ত আসরে ৬টি উইকেট নিয়ে শীর্ষে আছেন টাইগার পেসার। এর আগে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে চার উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন কাটার মাস্টার।
চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে টসে জিতে চেন্নাইকে আগে ব্যাটে আমন্ত্রণ জানিয়েছে গুজরাট অধিনায়ক শুভমন গিল। নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেটে ২০৬ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে চেন্নাই। জবাবে ৮ উইকেটে ১৪৩ রানে থামে গুজরাট। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে জয়ের পর দ্বিতীয়টিতে হার দেখল গতবারের রানার্স আপ দলটি।
আগে ব্যাটে নেমে চেন্নাইকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন রাচিন রবীন্দ্র ও ঋতুরাজ গাইকোয়াড। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৬২ রান। ৫.২ ওভারে রবীন্দ্র স্টাম্পিং হলে জুটি ভাঙে। ছয়টি চার ও তিন ছক্কায় ২০ বলে ৪৬ রান করেন কিউই অলরাউন্ডার। দ্বিতীয় উইকেটে আজিঙ্কা রাহানেকে নিয়ে ঝড় তোলেন ঋতুরাজ। ৪২ রানের জুটি ভাঙে ১১তম ওভারের প্রথম বলে। রাহানে ফিরে যান ১২ বলে ১২ রানে।
১২৭ রানে ঋতুরাজ ফিরে যান। পাঁচটি চার ও এক ছক্কায় ৩৬ বলে ৪৬ রান করেন চেন্নাই অধিনায়ক। শেষের দিকে ঝড়ো ফিফটি তুলে নেন শিভাম ডুবে। দুটি চার ও পাঁচ ছক্কায় ২৩ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ২০ বলে ২৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ড্যারিল মিচেল।
গুজরাটের হয়ে রশিদ খান দুটি উইকেট নেন। সাই কিশোর, স্পেন্সার জনসন ও মোহিত শর্মা একটি করে উইকেট নেন।
জবাবে নেমে চেন্নাই বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি গুজরাট ব্যাটাররা। নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে তারা। ৩১ বলে সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেছেন সাই সুদর্শন। এছাড়া ঋদ্ধিমান সাহ ১৭ বলে ২১ রান এবং ডেভিড মিলার ১৬ বলে ২১ রান করেন।
চেন্নাইয়ের হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান, দীপক চাহার ও তুষার দেশপান্ডে দুটি করে উইকেট নেন। এছাড়া ড্যারিল মিচেল ও মাথিশা পাথিরানা একটি করে উইকেট নেন।