‘ভুল’ ও ‘বেইলি রোড’ দুটি সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে খুলনার ডুমুরিয়ার মেয়ে আঁচলের। পরে বাপ্পী চৌধুরীর সঙ্গে জুটি বেঁধে প্রথম ‘জটিল প্রেম’ ছবিতে অভিনয় করে নজর কাড়েন আঁচল। শাহীন সুমনের পরিচালনায় ছবিটি ব্যবসায়িক সাফল্য পায়, ২০১৩ সালে আলোচনা আসেন আঁচল।
এরপর বাপ্পী-আঁচল জুটি বেঁধে প্রেম প্রেম পাগলামি, গুণ্ডা দ্য টেরোরিস্ট, সুলতানা বিবিয়ানা, দাগ হৃদয়েসহ মোট আটটি ছবিতে অভিনয় করেছেন।
অধিকাংশ ছবিতে তারা একসঙ্গে নজর কেড়েছেন। এ জুটির রোমান্স ও ড্রামা দর্শকদের আস্থা অর্জন করে, তারা জুটি হিসেবে অনেকটা প্রতিষ্ঠিত!
তবে বছর চারেক আগে থেকে বাপ্পী-আঁচল আর একসঙ্গে কাজ করেন না। দুজনেই আলাদাভাবে অন্যদের সঙ্গে সিনেমা করছেন। বাপ্পী একের পর এক অপু বিশ্বাস, অধরা খান, জাহারা মিতুর সঙ্গে কাজ করলেও আঁচল লাইম লাইট থেকে অনেকটা ছিটকে পড়েন; ঢাকা ছেড়ে একবার গ্রামে ফিরেছিলেন।

চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, আঁচলের ক্যারিয়ার যতটা উজ্জ্বলভাবে শুরু হয়েছিল পরে তিনি সেই ধারাবাহিকতা রাখতে পারেননি। তাকে নিয়ে আগের মতো আর আলোচনা নেই! শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফিল্ম সিটিতে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির বনভোজনে এই প্রশ্ন করা হয় নায়িকা আঁচলকে।
চ্যানেল আই অনলাইনকে আঁচল বলেন, ১৩ বছর হলো আমি ফিল্মে কাজ করছি। সবার সময় শুরু হয়, শেষ হয়। এটাই জগতের নিয়ম। আমার সময়ের পরীমনি, মাহিরা সংসার সামলাচ্ছেন, কিন্তু আমি এখনও কাজ করে যাচ্ছি। এটা কম কি? নতুনদের মধ্যে দীঘি, পূজারা কাজ শুরু করেছে। তারা ভালো করছে। নতুনদের নতুন দিন আসবে। এটা নিয়ে আসলে তেমন ভাবে আমি চিন্তা করি না। যতগুলো সিনেমা করেছি এটা আমার ভাগ্য। মনে হয়না পলিটিক্সের শিকার হয়েছি। কারণ, যেটা আমি পাইনি, সেটা আসলে কখনও আমার ছিল না।”
আঁচলের ক্যারিয়ারে উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো সব বাপ্পীর সঙ্গে। দর্শকদের জানার আগ্রহ কেন ভেঙেছে বাপ্পী-আঁচল জুটি? আঁচল বলেন, বাপ্পীর সঙ্গে আমার ক্যামিস্ট্রি ভালো ছিল। এখনও দর্শকরা আমাকে বলে বাপ্পীর সঙ্গে কেন কাজ করছি না। সত্যি বলছি, বাপ্পীর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগতভাবে কোনো যোগাযোগ নেই। ওর খবর জানি না। পরিচালক প্রযোজকদের কাছে বাপ্পী ও আমাকে নিয়ে সিনেমা করার সুপারিশ করলে সবাই এক কথায় না করে দেয়।
আঁচল জানান, মুক্তির অপেক্ষায় আছে তার অভিনীত বেশ কিছু ছবি। এর মধ্যে আছে চিৎকার, কর্পোরেট, জমজ ভূতের গল্প, আয়না, কাজের ছেলে, এক পশলা বৃষ্টি।