চলতি বছরের ২০ মে থেকে ১১ জুন ইন্দোনেশিয়ায় ছেলেদের অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর বসার সকল আয়োজনই সম্পন্ন ছিল। বুধবার পূর্ব এশিয়ার দেশটির কাছ থেকে বিশ্বকাপ আয়োজনের মর্যাদা কেড়ে নিয়েছে ফিফা।
ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম বড় দ্বীপ বালির গভর্নর ইসরায়েলের ম্যাচ আয়োজনে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর স্বাগতিক দেশকে টুর্নামেন্টের ড্র স্থগিত করতে বলা হয়, জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল ফেডারেশন (পিএসএসআই)।
ফিফার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে টুর্নামেন্ট আয়োজনে ইন্দোনেশিয়ার স্বাগতিক দেশের অধিকার বাতিল করা হয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব নতুন আয়োজক দেশের নাম ঘোষণা করা হবে। টুর্নামেন্টের তারিখ অপরিবর্তিত রয়েছে। পিএসএসআই’র বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।
ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো এবং পিএসএসআই চেয়ারম্যান এরিক থোহিরের মধ্যে একটি বৈঠকের পর ইন্দোনেশিয়ায় বিশ্বকাপ আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
পিএসএসআই’র ওয়েবসাইটে বিবৃতিতে থোহির বলেছেন, ইন্দোনেশিয়া ফিফার সদস্য। তাই যেকোনো আন্তর্জাতিক ফুটবলের ক্ষেত্রে আমাদের নিয়ম মেনে চলতে হবে। আমি দেশের সব ফুটবলপ্রেমী মানুষকে আহ্বান জানাবো, এই কঠিন সময়ে তারা যেন মাথা উঁচু করে থাকে।
এমাসেই বিশ্বকাপে ইসরায়েলকে অংশগ্রহণের অনুমতি না দেয়ার দাবিতে রাজধানী জাকার্তায় ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিস্তিনের বিক্ষোভকারীরা মিছিল করে।
পিএসএসআই আগেই বলেছিল, আয়োজক দেশের অধিকার হারানোর সিদ্ধান্ত ইন্দোনেশিয়া ফুটবল দলের অন্যান্য ফিফা টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ হবে ট্রিলিয়ন রুপিয়া।