ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অনায়াসে হারালেও ভারতের ব্যাটিং পারফরম্যান্স ছিল না আহামরি। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেই বসতে হয়। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে অবশ্য টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটাররা ফর্মে ফিরলেন। স্বাগতিকদের বিপক্ষে ২০০ রানের বড় জয়ে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতল ভারত। সিরিজসেরার পুরস্কার জয়ের পরও নিজের অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন ঈশান কিষাণ।
ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার হওয়া ম্যাচে আগে ব্যাট করে ভারত ৫ উইকেটে ৩৫১ রান তোলে। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৫.৩ ওভারে ১৫১ রানেই গুটিয়ে যায়।
শুভমান গিলের সঙ্গে ১৪৩ রানের ওপেনিংয়ে নেমে ১৪৩ রানের জুটি গড়েন কিষাণ। ২৫ বর্ষী ব্যাটার ইয়ান্নিক ক্যারিয়াহর বলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হওয়ার আগে খেলেন ৬৪ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৭ রানের ঝলমলে ইনিংস। তিন ম্যাচ সিরিজে ৬১.৩৩ গড়ে ১৮৪ রান করে হয়েছেন সিরিজসেরা। শেষ ওয়ানডেতে ইনিংস বড় করতে না পারায় তার কণ্ঠে ঝরেছে আক্ষেপ।
আমি যে ফিনিশিং দিয়েছি, তাতে খুব খুশি ছিলাম না। সেট হওয়ার পর আমার বড় স্কোর করার কথা ছিল। সিনিয়র খেলোয়াড়রা আমাকে এটাই বলেছিলেন। আমার উচিৎ ছিল মাঠে থাকা এবং বড় স্কোর করা। আমি পরের বার এটা করার চেষ্টা করব, আমি ইনিংস বড় করব। এমন পর্যায়ে উইকেটে সেট হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাত্র ১৮১ রানে অলআউট হয়ে সফরকারীরা ৬ উইকেটে পরাজিত হয়। সেই পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়ে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় টিম ইন্ডিয়া। এ প্রসঙ্গে কিষাণের সাফ কথা, শেষ খেলার কথা ভুলে গিয়ে শূন্য থেকে শুরু করাটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। আমি শুধু প্রতিটি বল খেলা নিয়েই ভাবছিলাম।
এই খেলাগুলো থেকে শেখাটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি জানেন, কীভাবে একটি টুর্নামেন্ট আপনার জীবন পরিবর্তন করতে পারে। এখন এটার উপর আমরা নজর দিচ্ছি।
আরেক ওপেনার শুভমান গিলও খেলেছেন দারুণ। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও ৯২ বলে ১১ চারে ৮৫ রানের ইনিংস খেলে ক্যারিয়াহর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ম্যাচসেরা ক্রিকেটারের প্রশংসা করতে কার্পণ্য করেননি কিষাণ।
তিনি একজন অসাধারণ খেলোয়াড়। আমি দেখেছি কীভাবে তিনি মাঝব্যাটে বল খেলেন। তাকে উইকেটের মাঝখানে থেকে মারতে দেখাটা আমাকেও অনেক আত্মবিশ্বাসী করে।
উইন্ডিজের বিপক্ষে চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ক্রিজে এসে ৪১ বলে ৫১ রান করেন সাঞ্জু স্যামসন। গিলের বিদায়ের পর অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ও সূর্যকুমার যাদব পঞ্চম উইকেটে গড়েন ৪৯ বলে ৬৫ রানের জুটি। সূর্যকুমার ৩৫ রান করে ফেরেন। ৫২ বলে ৪টি চার ও ৫ ছক্কায় ৭০ রানে অপরাজিত ছিলেন হার্দিক।
জবাবে শুরু থেকেই ক্যারিবীয়রা ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। স্কোরবোর্ড ৪০ রান তুলতেই হারায় ৫ উইকেট। গুদাকেশ মতি ৩৪ ও আলঝারি জোসেফ ২৬ রানের ইনিংস না খেললে দলীয় স্কোর দেড়শ পার হতো না। ভারতের হয়ে শার্দূল ঠাকুর ৪টি ও মুকেশ কুমার নিয়েছেন ৩টি উইকেট।