এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তানের আরেকটি জমজমাট লড়াই দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেট বিশ্ব। তার আগে দল দুটির সাবেকদের কথার লড়াই শুরু হয়ে গেছে। ভারতের সাবেক খেলোয়াড়-কোচ রবি শাস্ত্রী পার্থক্য গড়ে দেয়ার বিষয়টিতে আলোকপাত করেছেন। বলছেন, দুদলের ‘মানসিকতা’ আসল পার্থক্য গড়ে দেবে।
পাকিস্তান স্বাগতিক হওয়ার পরও হাইব্রিড মডেলের কারণে শনিবার শ্রীলঙ্কার পাল্লেকেলেতে বিকাল সাড়ে ৩টায় ভারতের মুখোমুখি হবে। তার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন সাবেক শাস্ত্রী। বলেছেন, পাকিস্তান বেশ উন্নতি করেছে এবং ভারতের সাথে ‘শক্তির পার্থক্য কমিয়েছে’। তার মতে, অভিজ্ঞ রোহিত শর্মার অধীনে ভারত ভালো অবস্থায় থাকবে।
‘আমাকে বলতেই হবে ভারত ফেভারিট হিসেবে শুরু করবে। ২০১১ সালের পর এটা তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী দল। একজন পাকাপোক্ত অধিনায়ক যিনি তার দলকে ভালোভাবে বোঝেন ও জানেন।’
‘পাকিস্তান দল ভারতের সাথে তাদের শক্তির পার্থক্য কমিয়েছে। সাত-আট বছর আগে খেলোয়াড়দের দেখলে তাদের শক্তির পার্থক্য বোঝা যেত। কিন্তু এখনকার পাকিস্তান এটা কমিয়েছে। তারা বেশ ভালো দল, সুতরাং খেলার নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে।’ বলছেন ৬১ বর্ষী শাস্ত্রী।
শাস্ত্রী মনে করছেন ভারত-পাকিস্তানের এমন উত্তেজনাকর ও চাপের ম্যাচে খেলোয়াড়দের ফর্ম কমই গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচে খেলোয়াড়দের মানসিকতাই আসল পার্থক্যটা গড়ে দেবে।
‘ওটাই গুরুত্বপূর্ণ, অন্য একটি খেলার মতো শান্ত থেকে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠো। খেলার মাঝে আজেবাজে চিন্তা করে মানসিকতাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার দরকার নেই। অন্য একটি খেলার মতোই একটি ম্যাচ এটি। অবচেতন চাপের কাছে মানসিকভাবে শক্তরাই সঠিক কাজটি করে।’
পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের প্রশংসা করে শাস্ত্রী বলেছেন, যেসব ব্যাটার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভালো পারফর্ম করতে চায় তাদের উচিত বাবরকে অনুসরণ করা।
‘সে শুরুর ৩০-৪০ রানকে শতকে পরিণত করে। এটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বলি যাও এবং বল খেলো, কিন্তু টপঅর্ডারের তিনজনের একজন যদি শতক পায় তবে রান ৩০০-এর বেশি হবে।’
ফিল্ডিংকেও গুরুত্বপূর্ণ বলেছেন শাস্ত্রী। তার মতে শ্রীলঙ্কা গত এশিয়া কাপে ফিল্ডিংয়ের জোরেই জিতেছিল। ১৯৯৬ সাল থেকেই তারা উপমহাদেশের অন্যতম সেরা ফিল্ডিং দল।