চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ধোনির পরামর্শে পাকিস্তানের বিপক্ষে সফল হরভজন

২০১১ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের স্মৃতিচারণ

প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, সেটিও আবার বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে— এমন ম্যাচে লাইন লেন্থ খুঁজে পেতে ভুগতে থাকা যেকোনো ভারতীয় বোলারের অসাড় হয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। হরভজন সিংও মুষড়ে পড়েছিলেন। অফস্পিনার সেসময় ত্রাতা হিসেবে পেয়েছিলেন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে, দলের জন্যও এনেছিলেন বড় সাফল্য।

২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে রোমাঞ্চকর সেই সেমিফাইনালের স্মৃতিচারণ করেছেন তারকা স্পিনার। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে সফলতা পেতে ধোনি কিভাবে সাহায্য করেছিলেন, প্রায় একযুগ পর সেটাই সামনে এনেছেন ভাজ্জি।

“ক্রিকেটে যতগুলো ম্যাচে নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম, পাকিস্তান ম্যাচটি ছিল তার একটি। ৫ ওভার বল করে সেদিন ২৬-২৭ রান দিয়ে ফেলেছিলাম। পানি পানের বিরতিতে ধোনি আমাকে বললেন, ‘ভাজ্জি, বোলিং সাইড পরিবর্তন করো।’ কামরান (আসলে উমর আকমল) দারুণ খেলছিলেন, মিসবাহও দুর্দান্ত ছিলেন। তারা দ্রুত রান তুলছিলেন, তাদের জুটি ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়াচ্ছিল।’ বলেছেন হরভজন।

ঠিক তখন আবারও হরভজনকেই বোলিং আক্রমণে আনেন ধোনি। অধিনায়কের টোটকা মেনে অ্যারাউন্ড দ্য উইকেটে প্রথম বলেই তুলে নেন উইকেট। দুসরায় পুরোপুরি পরাস্ত হন কামরান। ২৪ বলে ২৯ রানে তিনি ফিরলে ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মতো চাপে পড়ে পাকিস্তান।

দলীয় ১০৪ রানে ৪ উইকেট হারানো দল পঞ্চম উইকেট হারায় ১৪২ রানে। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি শহিদ আফ্রিদির দল। মিসবাহ-উল-হকের সেদিনের একার ৫৬ রানের লড়াইয়েও ২৯ রানে হারে পাকিস্তান। যার পেছনে এক্স ফ্যাক্টর ধরা হয় উমর ও আফ্রিদির উইকেট। দুজনকেই ফিরিয়েছিলেন হরভজন।

সেদিনের স্মৃতি এখনও জ্বলজ্বল করে ভারতের সাবেক স্পিনারের স্মৃতিতে, ‘যখন বোলিং করছিলাম, সৃষ্টিকর্তাকে ডাকছিলাম। জয়ের জন্য প্রার্থনা করছিলাম। ঈশ্বর শুনেছিলেন। অ্যারাউন্ড দ্য উইকেটে বল করে শুরুতেই কামরানের (আসলে উমর আকমল) উইকেট তুলে নিয়েছিলাম। তিনি পুরোপুরি পরাস্ত হয়েছিলেন।’

ধোনির সেই পরামর্শ আসলেই কাজে দিয়েছিল হরভজনের। প্রথম ৬ ওভারে ধুঁকতে থাকা স্পিনার শেষ ৪ ওভারে ছিলেন অনেকটা কৃপণ। শেষ পর্যন্ত ১০ ওভারে ৪৩ রান খরচায় তুলে নিয়েছিলেন ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। যা ভারতকে ফাইনালে তুলতে বড় ভূমিকা রেখেছিল।