টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন বলেছিলেন, ভারতের বোলিং লাইনআপ ও স্পিন কন্ডিশনের কারণে ‘বাজবল’ ক্রিকেট খুব একটা কার্যকর হবে না। ভনের সেই কথাই যেন ফলতে শুরু করেছে। রাজকোটে তৃতীয় টেস্টে টিম ইন্ডিয়ার কাছে সফরকারীদের ৪৩৪ রানের বিশাল হারে বেশ শঙ্কিত ভন। তার মতে বাজবলের কৌশল ফাঁস হয়ে গেছে।
সিরিজের তৃতীয় টেস্টে টসে জিতে আগে ব্যাটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তার ও জাদেজার জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৪৪৫ রানের সংগ্রহ আনে স্বাগতিকরা। বেন ডাকেটের সেঞ্চুরিতে ৩১৯ রানে থেমে যায় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে যশস্বী জয়সওয়ালের ডাবল সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে ৪৩০ রানে ইনিংস ঘোষণা দেয় ভারত। আগের ১২৬ রানের লিডসহ ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড় করায় ৫৫৬ রানের। রানতাড়ায় ১২২ রানে গুটিয়ে যায় ইংলিশবাহিনী।
পাঁচ ম্যাচ টেস্ট সিরিজে প্রথমটিতে জিতলেও পরের দুটিতে হেরে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে ইংল্যান্ড। রাজকোট টেস্টের চতুর্থ দিনে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ধসের আগে ভন বলেছিলেন, ইংল্যান্ডের ‘বাজবল’ পদ্ধতি ভারতীয় কন্ডিশনে ফাঁস হয়ে গেছে।
৪৯ বর্ষী ভন বলেন, ‘আমি ভয় পাচ্ছি যে এই সপ্তাহে বাজবলের রহস্য ফাঁস হয়ে গেছে। এটি যখন কাজ করে তখন দুর্দান্ত। প্রথম টেস্টটি এমন একটি পিচে ছিল যা সব ধরণের খেলাই কার্যকর ছিল। তবে শেষ দুটির পিচ বাজবল খেলার জন্য একেবারেই উপযুক্ত ছিল না।
ভারতের জয়ের জন্য শেষ সেশন শুরুর আগেই ভন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন , ইংল্যান্ড ‘বাজবল’ যুগে প্রথমবারের মতো নাকাল হতে চলেছে। এমনকি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ দেখে তাই মনে হয়েছে। তবে পুরোপুরি বাজবলের জন্য এমনটা না হয়ে অগোছালো ক্রিকেট খেলার কারণেও থ্রি লায়নদের ব্যাটিং ধস হতে পারে বলে মনে করছেন সাবেক এই অধিনায়ক।
‘আসুন সত্যিটা বলি, সিরিজে ইংল্যান্ড অগোছালোও হতে পারে। তারা বাজবল যুগেও ম্যাচ হেরেছে। কিন্তু তারা এভাবে ধসে যায়নি। এমনটি প্রথমবার হল। এমনকি দলটি গত দুই বছরে যে সব ম্যাচ হেরেছে, তখনো আপনি ইতিবাচক দিকগুলোই পেয়েছেন। তাদের কিন্তু এভাবে ধসে যেতে দেখেননি।’
‘তবে এটি আসলে জেগে উঠার মতো একটি বার্তা দেয়। মানসম্পন্ন দলগুলোর বিপক্ষে এভাবে কার্যকর নাও হতে পারে। সাধারণ জ্ঞানকে প্রাধান্য দেয়া উচিৎ। আমি মনে করি ‘বাজবল’ সর্বত্র কাজ নাও করতে পারে।’