শক্তিশালী ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৫ হাজারের কাছাকাছি। দুই দেশে মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৩০০ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। এর মধ্যে শুধু তুরস্কেই মারা গেছেন ২ হাজার ৩৭৯ জন। সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৪৪ জনে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।
ভূমিকম্পে তুরস্কে আহত হয়েছেন ১৪ হাজার ৪৮৩ জন। সিরিয়ায় আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৫৩১ জন। ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারকারীরা একের পর এক মরদেহ উদ্ধার করছেন। প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ভূমিকম্পে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ায় তীব্র ঠান্ডার মধ্যে বহু মানুষকে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হয়েছে। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণে অনেক মানুষকে জটলা হয়ে বসে থাকার ছবিও তুলে এনেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
ভূমিকম্পে তুরস্কে অন্তত ৫ হাজার ৬০৬টি ভবন ধ্বংস হয়েছে।
অন্যদিকে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত এক হাজার ৪৪৪ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া দেশটিতে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ভূমিকম্পে হতাহতদের খবর আসার শুরুতে সতর্ক করে জানিয়েছিল, শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু আটগুণ বাড়তে পারে।
ভূমিকম্পের ঘটনায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরেদোয়ান সাত দিনব্যাপী জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন। এসময় তিনি বলেন, তুরস্কে ভূমিকম্পে হতাহতদের জন্য সাতদিন শোক পালন করবে। এরদোয়ান এক টুইটে ঘোষণা দেন, আমাদের সরকারি ও বিদেশি সব দপ্তরে ১২ ফেব্রুয়ারি সূর্যাস্ত পর্যন্ত পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
এর আগে একটি টুইটের মাধ্যমে এরদোয়ান ভূমিকম্পে ভুক্তভোগীদের প্রতি সবেদনা জানিয়ে বলেন, আশা করছি দ্রুতসম্ভব কম ক্ষয়ক্ষতিসহ দুর্যোগটি কাটিয়ে উঠবো। অন্যান্য ইউনিট সতর্ক রয়েছে।
সোমবার (৬ এপ্রিল) স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিরিয়া সীমান্তবর্তী গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮।