গতকাল বিকেলে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ভোটগণনার কাজ চলছে খুবই ধীর গতিতে। গণনায় দেখা গেছে, সেনা সমর্থিত নওয়াজ শরীফের দলের থেকে ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রাথমিক ফলাফলে এগিয়ে আছেন।
দেশটির গণমাধ্যমগুলোতে এখন পর্যন্ত প্রকাশিত ফলাফলে ইমরান খানের দলের প্রার্থীদেরই এগিয়ে থাকতে দেখা গেছে। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম ডনের মতে, এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে নওয়াজ শরীফের দল পিএমএলএন জিতেছে ৪টি আসনে। অপরদিকে ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছেন ৫টি আসনে। ৩ টি আসনে জিতেছে বিলাওয়াল ভুট্টোর দল পিপিপি।
দেশটির আরেক সংবাদ মাধ্যম দ্যা এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, এখন পর্যন্ত প্রকাশিত ফলাফলে ইমরানের দল পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬টি আসনে, নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন প্রার্থীরা ৫টি আসনে এবং বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রার্থীরা ৪টি আসনে জয় পেয়েছেন।
পাকিস্তানের জিও নিউজের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা দেশটির জাতীয় নির্বাচনে এখন পর্যন্ত প্রকাশিত ৫০টি আসনের ফলাফলের মধ্যে ২১টি আসনে জয়ী হয়েছেন।
ভোট শেষ হওয়ার প্রায় ১০ ঘণ্টা পর আজ ভোররাত ৩টার দিকে প্রথম ৪টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, ফল প্রকাশে দেরির বিষয়টি নিয়ে। ভোটগণনার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, ইন্টারনেট সমস্যার জন্য ভোটগণনার ক্ষেত্রে এত দেরি হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে পিটিআই নেতা ওমর আয়ুব খান অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন পরবর্তী কারচুপি হচ্ছে। তিনি রিটার্নিং অফিসারদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তারা যেন এই ধরনের কোন কারচুপি না করেন।
রাওয়ালপিণ্ডির পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী বশারত রাজা বলেছেন, এখানে ফলাফল নিয়ে কারচুপি করা হয়েছে। তিনি আসলে এই কেন্দ্রে ৫০ হাজার ভোটে জিতেছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কোন ভোটকেন্দ্রেই লিড পাননি।
ইমরানের পিটিআই এবার দল হিসেবে লড়তে পারেনি। তবে তার প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন। প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, পিটিআই সমর্থিতরা নওয়াজ শরীফ ও ভুট্টোর দলকে রীতিমতো প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে ফেলেছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ কেবল লাহোরের একটি কেন্দ্র থেকে জিতেছেন।