অ্যাপলের সর্বশেষ দুটি ঘড়ি আমদানিতে আবারও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই মডেল দুটি হলো সিরিজ ৯ ও আলট্রা ২।
বৃহস্পতিবার ১৮ জানুয়ারি সিএনএন’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলা চলাকালীন সময়ে মডেল দু’টি বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে আজ যুক্তরাষ্ট্রের আদালত এই সিদ্ধান্তটি বাতিল করে পুনরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
মূলত, আমদানি নিষেধাজ্ঞাটি অক্টোবরের আইটিসির একটি রায় থেকে উদ্ভূত হয়েছে যে উন্নত অ্যাপল ওয়াচ মডেলগুলিতে পালস অক্সিমিটার বৈশিষ্ট্য ক্যালিফোর্নিয়ার কোম্পানি মাসিমোর একটি পেটেন্ট লঙ্ঘন করেছে।
এই রায়ের অর্থ হল, অ্যাপল আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিযোগকৃত মডেলগুলো আমদানি করতে পারবে না এবং ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে কোম্পানি তাদের রপ্তানিকৃত ঘড়িগুলো সরিয়ে নিতে শুরু করে। অ্যাপল অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা আপিল করে।
আপিলের পর আদালত নিষেধাজ্ঞা সাময়িক স্থগিত করলে অ্যাপল দ্রুত ঘড়ির বিক্রয় পুনরায় শুরু করে। নিষেধাজ্ঞার সেই সাময়িক বিরতি এখন আজ বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে।
ঘড়িগুলোর বিক্রি অব্যাহত রাখতে রক্তের অক্সিজেন মাপার ফিচার সরিয়ে নেবে বলে জানিয়েছে অ্যাপল।
সিরিজ ৯ ও আলট্রা ২-সহ অ্যাপলের ঘড়ির বেশির ভাগ সংস্করণে ২০২০ সাল থেকে এই ফিচার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে শুধুমাত্র এসই মডেলে ফিচারটি নেই।
এই আদেশ অনুযায়ী, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপের ফিচার সংবলিত ঘড়িগুলো যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার পর থেকে আর আমদানি করা যাবে না।
ডিভাইসে পেটেন্ট লঙ্ঘন করার অভিযোগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিশনের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে অ্যাপল এক বিবৃতিতে বলেছে, আপিল মূলতবি থাকা পর্যন্ত এই সীমিত বাধাসহ গ্রাহকদের অ্যাপল ওয়াচের অ্যাকসেস নিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে রায় মেনে চলার জন্যও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এখন বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন বাজারে সিংহভাগের অংশীদার অ্যাপল। কারণ এটি ১২ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো শীর্ষস্থান থেকে স্যামসাংকে হটিয়ে দিয়েছে ৷ এই সপ্তাহে প্রকাশিত ইন্টারন্যাশনাল ডেটা করপোরেশনের তথ্য অনুসারে, গত বছরে ফোনের বিক্রির এক পঞ্চমাংশেরও বেশি ছিল অ্যাপলের।