চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

ইফতারের বাহারি আয়োজন হঠাৎ বৃষ্টিতে পণ্ড

রোজার শুরুর দিনে বাহারি ইফতারি আয়োজনে সেজেছে রাজধানীর মোহাম্মদপুর-ধানমন্ডিসহ সব রেস্তোরাঁগুলো। তবে বিকেল পৌনে চারটার দিকে হঠাৎ বৃষ্টিতে কিছুটা ভাটা পড়ে ইফতারি আয়োজনে। এর মাঝেই ক্রেতারা জানাচ্ছেন এবারের ইফতার সামগ্রী তুলনামূলক বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে ।  

রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউনহল, তাজমহল রোড, সলিমুল্লাহ রোড, ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোড ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি রেস্তোরাঁতেই অর্ধশতাধিক পদের ইফতার রয়েছে।

ইফতারের বাহারি আয়োজনে যা আছে
রেস্তোরাঁগুলোর বাহারি ইফতার আয়োজনের মধ্যে রয়েছে বিফ চাপ প্রতি কেজি ১ হাজার টাকা, খাসির গ্রিল চাপ কেজি ১২০০ টাকা, খাসির লেগ কাবাব প্রতি পিস ৫৫০ টাকা, খাসির লেগ রোস্ট প্রতি পিস ৫৫০ টাকা, খাসির হালিম প্রতি পেয়ালা ১০০ টাকা, চিকেন ফুল রোস্ট (বড়) প্রতি পিস ৫০০ টাকা, চিকেন রোস্ট (ছোট) (পাকিস্তানি) প্রতি পিস ৪০০ টাকা, চিকেন রোস্ট (প্রতি পিস ১২০ টাকা), চিকেন ফ্রাই (ব্রয়লার) প্রতি পিস ৭৫ টাকা, চিকেন ফ্রাই প্রতি পিস ১২০ টাকা, চিকেন সাসলিক প্রতি পিস ৬০ টাকা, চিকেন উইংস প্রতি পিস ৩০ টাকা, চিকেন চিজ বল প্রতি পিস ২৫ টাকা, চিকেন অনথন প্রতি পিস ২৫ টাকা, ফিস ফিঙ্গার প্রতি পিস ৬০ টাকা, জালি কাবাব প্রতি পিস ২৫ টাকা, শামি কাবাব প্রতি পিস ২৫ টাকা, চিকেন ড্রাম স্টিক প্রতি পিস ৬৫ টাকা, চিকেন চিজ বল প্রতি পিস ৩০ টাকা, চিকেন চিজ রোল প্রতি পিস ৩৫ টাকা, চিকেন রোল প্রতি পিস ৩০ টাকা, চিকেন সমুচা প্রতি পিস ২০ টাকা, চিকেন পরোটা প্রতি পিস ৫০ টাকা, কিমা সমুচা প্রতি পিস ২০ টাকা, পনির সমুচা প্রতি পিস ২৫ টাকা, পিঁয়াজু প্রতি পিস ৮ টাকা, আলুর চপ প্রতি পিস ৮ টাকা, বেগুনি প্রতি পিস ৮ টাকা, ভেজিটেবল রোল প্রতি পিস ২৫ টাকা, স্প্রিং রোল প্রতি পিস ২৫ টাকা, চাইনিজ রোল প্রতি পিস ২৫ টাকা, চিকেন কাটলেট প্রতি পিস ৬০ টাকা, কিমা পরোটা প্রতি পিস ৫৫ টাকা, টানা পরোটা প্রতি পিস ৩৫ টাকা, বাটার পরোটা প্রতি পিস ৫৫ টাকা, জিলাপি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, রেশমি জিলাপি প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, লাবাং লিটার ২০০ টাকা।

কেমন হচ্ছে বেচাকেনা
ধানমণ্ডির এক রেস্তোরাঁর বিক্রয়কর্মী জানালেন, প্রথম ইফতারের আয়োজনের তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা অনেকটাই কম। আবার যারা ইফতার কিনতে এসেছেন তারাও কিনছেন সীমিত। মোহাম্মদপুরের এক রেস্তোরাঁর বিক্রয়কর্মী বললেন, হুট করে বৃষ্টিতে কিছুটা ইফতারি আয়োজনে প্রভাব পড়েছে। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ইফতারির সময় ক্রেতা যেমনটা থাকার তেমনটা নেই।

বাড়তি দামের কথা বলছেন ক্রেতারা
অন্য বছরের তুলনায় এবার একটু দাম বেশি মনে হচ্ছে জানিয়ে সালাউদ্দিন নামের এক ক্রেতা বললেন: যদিও দ্রব্যমূল্যের দাম ঊর্ধ্বগতি তবে সার্বিকভাবে চাইলে কিছুটা হলেও ইফতারির দাম কমানো যেত। ধানমণ্ডিতে ইফতারি কিনতে আসা সোহেল ইসলাম বললেন: একেক রেস্তোরাঁতে একেক দাম। ইফতার বাজার মনিটরিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে।
বৃষ্টিতে হঠাৎ বাগড়া
বিকেলে হুট করেই বৃষ্টিতে ইফতার বাজার খানিকক্ষণের জন্য পণ্ড হয়। যেসব রেস্তোরাঁগুলো দোকানের বাইরে খাবারের পসরা সাজায় তারা বৃষ্টির সময় পলিথিন দিয়ে ইফতারি ঢেকে ফেলে।হুট করে এমন বৃষ্টিতে কিছুটা হলেও ঝামেলায় পড়ে ব্যবসায়ীরা।ধানমণ্ডির এক বিক্রেতা বললেন: বৃষ্টির জন্য কিছু খাবারে পানি ঢুকেছে। এটা নষ্ট। ইফতারির খাবার দ্বিতীয়বার গরম করা যায় না।এদিকে হঠাৎ বৃষ্টিতে ক্রেতারাও যারা ছুটির দিনে একটু বেশি ইফতার কিনতে বের হয়েছিলেন তারাও বৃষ্টির কারণে অল্প ইফতার কিনে বাড়ির দিকে ছুটেছেন।

Labaid
BSH
Bellow Post-Green View