সন্দেহ এড়াতে মবিলের কার্টনের ভিতরে মাদক ‘আইস’ পরিবহন করতো উত্তরার মাদক ব্যবসায়ী একটি চক্র। এই চক্রের নেতৃত্বে ছিল ইফতেখার উদ্দিন সাকিব। ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে গ্রুপ খুলে মাদক ‘আইস’ এর অর্ডার নিয়ে নারী ডেলিভারিম্যান দিয়ে ডেলিভারি করাতেন সাকিব।
সোমবার ৯ অক্টোবর রাতে আব্দুল্লাহপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পূর্ব পাশে পলওয়েল কারনেশন সেন্টারের সামনে থেকে সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেসময় তার কাছ থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ১ কেজি আইস ও মাদক বিক্রিতে ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার ১০ অক্টোবর দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।
তিনি বলেন: উত্তরা-পূর্ব থানার একটি টহল পুলিশ দল নিয়মিত তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করার সময় গোপন তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে, ঢাকার আশেপাশের জেলা থেকে একটি মাদকের চালান উত্তরায় প্রবেশ করবে। সে তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যায় উত্তরা-পূর্ব থানা পুলিশ আব্দুল্লাহপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পূর্ব পাশে পলওয়েল কারনেশন সেন্টারের সামনে চেকপোস্ট বসায়। রাত এগারোটার দিকে পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে দৌড়ে পালানোর চেষ্টার সময় সাকিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার সাথে থাকা প্লাস্টিকের ব্যাগ তল্লাশি করে ১ কেজি আইস উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, গ্রেপ্তার ইফতেখার উদ্দিন সাকিবের বাড়ি চট্টগ্রামের টেকনাফের সাতকানিয়ায়। সে উত্তরার ৫নং সেক্টরে বসবাস করে সেখানে একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র গড়ে তোলে। টেকনাফের এক মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আইস সংগ্রহ করে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করতো সাকিব।
ডিসি মোর্শেদ বলেন, চক্রটি মূলত ফেসবুকে ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ খুলে অর্ডার নিতো এবং নারী ডেলিভারিম্যান দিয়ে মাদক সরবরাহ করতো। সন্দেহ এড়াতে তারা মবিলের কার্টনের ভিতরে মাদক পরিবহন করতো।
গ্রেপ্তার সাকিবের বিরুদ্ধে উত্তরা-পূর্ব থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।