এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এপ্রিল মাসের সেরার ক্রিকেটারের জন্য মনোনীত তিনজনের তালিকা প্রকাশ করেছে। টেস্ট মর্যাদা না থাকা নামিবিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুই ক্রিকেটার মাসসেরার দৌড়ে জায়গা পেয়েছেন।
পাকিস্তানের তারকা পেসার শাহিন শাহ্ আফ্রিদির মনোনীত হওয়াটা বড় কোনো চমক নয়। তবে গেরহার্ড ইরাসমাস ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুহাম্মদ ওয়াসিমের নাম আসাটা চমকই। তাদের অসাধারণ পারফরম্যান্সই মূল্যায়ন করেছে আইসিসি।
ইরাসমাস এপ্রিলে ওমান সফরে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত ছিলেন। পাঁচ ম্যাচ টি-টুয়েন্টি সিরিজে দুবার প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হন। দ্বিতীয় ম্যাচে ৫৬ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলার পাশাপাশি বল হাতে মাত্র ৭ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট। সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে ব্যাট হাতে ২৯ বলে ৬টি ছক্কায় ৬৪ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেন নামিবিয়া অধিনায়ক। সিরিজ জয়ে তার এমন ব্যাটিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এসিসি প্রিমিয়ার কাপে দারুণ ফর্মে ছিলেন আরব আমিরাতের ডানহাতি ব্যাটার ওয়াসিম। তৃতীয় ম্যাচে হাঁকান সেঞ্চুরি। কুয়েতের বিপক্ষে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরলেও ৩০ বর্ষী ক্রিকেটারের ফর্মে ফিরতে সময় লাগেনি। পরপর তিন ম্যাচে তার ব্যাটে ৬৫, ৪৫ এবং ৪৮ রানের ইনিংসের দেখা মেলে। প্রিমিয়ার কাপের ফাইনালে মাত্র ৫৬ বলে সেঞ্চুরি করেন। ইনিংসে ৬ চার এবং ৭ ছক্কার মার ছিল। ওমানের বিপক্ষে ৫৫ রানের বড় জয়ে তার ইনিংস অবদান রেখেছিল।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজে বল হাতে সর্বাধিক উইকেট শিকারি হন শাহিন আফ্রিদি। বৃষ্টিবিঘ্নিত উদ্বোধনী ম্যাচে শাহিন এক উইকেট তুলে নেন। পরে রাওয়ালপিন্ডি এবং লাহোরে সিরিজের দ্বিতীয় এবং পঞ্চম ম্যাচে চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স দেখান। দ্বিতীয় ম্যাচে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হওয়া শাহিন মাত্র ১৩ রানেরে নেন ৩ উইকেট। কিউইরা ৯০ রানে অলআউট হয়। বাঁহাতি পেসার সিরিজ নির্ধারণী খেলায়ও হন ম্যাচসেরা। বল হাতে ৩০ রানে শিকার করেন ৪ উইকেট। সবমিলিয়ে ৮ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরাও হন।
এদিকে, এপ্রিল মাসে মেয়েদের মাসসেরা ক্রিকেটারের মনোনয়ন তালিকাও দিয়েছে আইসিসি। তিন ক্রিকেটার হলেন সাউথ আফ্রিকার লরা ওলভার্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইলি ম্যাথিউস ও শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু।