চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

কী উত্তর দেব জানি না, তবে আমার একটা প্রশ্ন আছে: প্রধানমন্ত্রী

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে ৪০ বিশ্ব বরেণ্য ব্যক্তিত্বের চিঠি প্রসঙ্গে

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে ৪০ জন বিশ্ব বরেণ্য ব্যক্তিত্বের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে লেখা চিঠি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘এটার কী উত্তর দেব জানি না, তবে আমার একটা প্রশ্ন আছে।’

তার প্রশ্ন হচ্ছে: ড. মুহাম্মদ ইউনূস এতো নামিদামি, নোবেল প্রাইজ প্রাপ্ত; তার জন্য ৪০ জনের নাম খয়রাত করে এনে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট দিতে হবে কেনো বিদেশি পত্রিকায়। এটাই আমার প্রশ্ন- প্রজ্ঞাপন কেন দিতে হলো..

সোমবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন: প্রথমেই একটা কথা বলি- এটা বিবৃতি ঠিক না। এটা একটা অ্যাডভার্টাইজমেন্ট, ৪০ জনের নাম ব্যববহার করা হয়েছে। সেটা একজন বিশেষ ব্যক্তির পক্ষে। এটার উত্তর কী দেবো জানি না। তবে আমার একটা প্রশ্ন আছে- যিনি এতো নামিদামী নোবেল প্রাইজপ্রাপ্ত তার জন্য ৪০ জনের নাম খয়রাত করে এনে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট দিতে হবে কেন বিদেশি পত্রিকায়। এটাই আমার প্রশ্ন, আর কিছু না।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে তার বক্তব্য হচ্ছে: যে যাই হোক আমাদের দেশে কতগুলো আইন আছে। সেই আইন অনুযায়ী সব চলবে এবং সেটা চলে। আমাদের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। আমরা শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা করি। যারা ট্যাক্স ঠিক মতো দেয় তার জন্য আলাদা বিভাগ আছে। কেউ যদি এ সমস্ত বিষয়ে আইন ভঙ্গ করে বা শ্রমিকদের কোন অধিকার কেড়ে নেয় শ্রম আদালত আছে সেটা দেখে।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ড. ইউনূসের জন্য বিশেষ কিছু করার নেই বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলে: এই ক্ষেত্রে সরকার প্রধান হিসেবে আমার তো কিছু করার নেই। কাজেই এখানে আমাকেই বা কেন বলা হলো? এর বাইরে আমি আর কি বলবো! পদ্মা সেতু কিন্তু আমরা করে ফেলেছি।

বিশ্বের বরেণ্য ৪০ জন ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি লিখেন। যা ওয়াশিংটন পোস্টে প্রায় কোটি টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন আকারে গত ৭ মার্চ এ খোলা চিঠিটি প্রকাশিত হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়: নোবেল পুরস্কারজয়ী অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন অনবদ্য পরিশুদ্ধ মানুষ এবং তার কার্যক্রমগুলো বাংলাদেশ সরকারের অন্যায় আক্রমণের শিকার হচ্ছে। বারবার হয়রানি এবং তদন্তের মধ্যে পড়ছে। এ অবস্থায় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেন খোলা চিঠিতে স্বাক্ষরদাতা বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

গত ৪ মার্চ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি ৫ : সম্ভাবনা থেকে সমৃদ্ধি) পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগ দিতে কাতার সফর করেন প্রধানমন্ত্রী। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে দেশটি সফর করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বিভিন্ন ইভেন্টে তিনি অংশ নেন।

এর মধ্যে ৫ মার্চ জাতিসংঘ সম্মেলনের সাইডলাইনে কাতার ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে (কিউএনসিসি) আয়োজিত ‘গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর স্মুথ অ্যান্ড সাসটেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন : মার্চিং টুওয়ার্ডস স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। এ সময় তাদের সামনে পাঁচ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন তিনি।

৬ মার্চ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অবস্থানরত বাংলাদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।

৭ মার্চ ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং আঞ্চলিক একীভূতকরণে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন তিনি।

গত ৮ মার্চ বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি-১২৬) তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।