ফেনী সোনাগাজীর ছাড়াইতকান্দি গ্রামের ডাক্তার মিজানুর রহমান হত্যার বিচার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এসময় তারা হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়েছে।
মঙ্গলবার ১৬ মে দুপুরে সোনাগাজীর সদর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনতা এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এর আগে জমি-সংক্রান্ত বিরোধের কারণে ৫ মে দুপুরে তাকে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে। পরে ওই দিন রাতে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত মিজান সোনাগাজী ছাড়াইতকান্দি গ্রামের কালা সোবহানের বাড়ির মরহুম নূরুল হুদার ছেলে। তিনি স্থানীয় মনগাজী বাজারের হোমিও চিকিৎসক। এছাড়াও তিনি ছাড়াইতকান্দি হোছাইনিয়া দাখিল মাদরাসা পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য হিসেবে দায়িত্বপালন করছিলেন।
নিহতের স্বজন অলি আহমদ, নিলুফা ও নাসির উদ্দিন মুজাহিদসহ মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সকলে মিজান হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সোনাগাজীর হোসাইনিয়া মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, একজন নিরীহ লোককে প্রকাশ্য দিনের বেলায় হত্যা করেছে। আমি ও এলাকাবাসী হত্যাকারীর সুষ্ঠু বিচার দাবি জানাই।
সোনাগাজীর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তাসলিম হুসাইন বলেন, এই হত্যার মামলা পর থেকে আমরা চারজন এজাহারভূক্ত আসামীকে গ্রেফতার করেছি। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
জানা যায়, সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের ছাড়াইতকান্দি গ্রামে জমি-সংক্রন্ত বিরোধের জেরে ৫ মে দুপুরে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে মিজি বাড়ির সামনে আবু তাহেরের ছেলে জসিম উদ্দিন, সবুজ মিয়া, আবুল খায়েরের ছেলে মাঈন উদ্দিন মামুন ও সবুজের ছেলে বাবলুসহ ১৫ থেকে ২০ জন সন্ত্রাসী ডা. মিজানুর রহমানকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। হামলার খবর শুনে তার তিন সহোদর আবদুল হাই, আবু তৈয়ব ও আবদুল গোফরান এগিয়ে এলে তাদেরকেও কুপিয়ে আহত করে।
স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ৮টার দিকে মিজানের মৃত্যু হয়।