প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের গণতন্ত্রের ওপর তার অবস্থান আরও শক্ত করে চলেছেন। সমালোচক এবং বিশ্লেষকরা বলছেন, তার দলের মিত্রদের রক্ষা করতে এবং প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাঁবু করতে এবার বিচার বিভাগের ওপর ঝুঁকছেন তিনি।
এক প্রতিবেদনে নিউইয়র্ক টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে প্রকাশ, গত সপ্তাহে দেশটির আদালত বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধীকে মানহানির মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। যে সময়টুকু তাকে সংসদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য যথেষ্ট।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১৯ সালের একটি বক্তৃতায় রাহুল ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর নামকে চোরের সাথে তুলনা করেছিলেন। তখন মামলাটি দায়ের করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী নির্বাচনের জন্য এই মামলা রাহুলকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধা দিতে পারে।

মোদির বিপুল জনপ্রিয়তা ও জাতীয়তাবাদ তার সরকারকে চাপ ও প্রলোভনের মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থাকে তার ইচ্ছার দিকে কাজ করাতে অনেকটাই বাধ্য করেছে। দেখা যায়, পক্ষের বিচারকরা সংসদ, গভর্নরশিপ বা সরকারি কমিশনে নিয়োগ পাচ্ছেন। বাকিদের ক্ষেত্রে তা হয়নি।
মঙ্গলবার দলীয় কর্মীদের সাথে এক আলোচনায় মোদি বলেছিলেন, যে বা যারা তাকে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করার জন্য অভিযুক্ত করেছিল তারা সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর ‘বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করার’ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল শুধু। আগামী নির্বাচনেও তিনি দলের নেতৃত্বে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।