মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। এসময় মহাসড়কে কয়েক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
মহাসড়কের দড়ি বাউশিয়া এলাকায় আন্দোলনকারীরা অবস্থান নিয়ে নানারকম স্লোগান দেয়। এতে মহাসড়কের উভয় দিকে ১৩ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রশাসনের আশ্বাসে দুপুর দেড়টার দিকে আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক থেকে সরে গেলেও বিকালে আবারও জমায়েত হয়। এতে পুনরায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জানা যায়, আজ মঙ্গলবার ৫ মার্চ সকাল ১১ টার দিকে তিতাসের লোকজন অবৈধ লাইন বিচ্ছিন্ন করতে এলে আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার নারী-পুরুষ তিতাস কর্মকর্তাদের ঘিরে ধরেন। উত্তেজিত জনতা দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশের দড়ি বাউশিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। দীর্ঘ প্রায় দেড় ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। বিকালে আবার এলাকাবাসী মহাসড়ক অবরোধ করলে পুলিশ এসে বাধা দিলে উত্তেজিত জনতা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসানসহ ৭ পুলিশ আহত হয়। এসময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে।
আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনা করতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার, মুন্সীগঞ্জ সদর-গজারিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান, মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল আল ফারুকসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।
এ ঘটনায় আহত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, ‘পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করলে কিছু উশৃঙ্খল বিক্ষোভকারী হঠাৎ পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আমিসহ ৭ জন পুলিশ আহত হয়। তবে এঘটনায় বিক্ষোভকারীদের কেউ আহত হয়নি।’