ভারতে একজন ব্যক্তি স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার মৃতদেহ দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির ফতেহপুর বেরির একটি বনে ফেলে দেয়। জানা যায়, লোকটি তার স্ত্রীকে অন্য একজন মহিলার কাছ থেকে ৭০ হাজার রূপির (৯৫ হাজার টাকা) বিনিময়ে কিনেছিলেন।
এনডিটিভি জানায়, পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীর আচরণ নিয়ে অসন্তুষ্ট থাকায় এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছেন ধরমভীর। এই সময়
অরুণ এবং সত্যভান নামের আরও দু’জন তাকে সাহায্য করেন।
উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) চন্দন চৌধুরী বলেন, ফতেহপুর বেরির ঝিল খুর্দ সীমান্তের কাছে একটি জঙ্গলে এক মহিলার মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে একটি কল আসে। খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, পুলিশ মামলার তদন্ত শুরু করলে একটি অটোরিকশার গতিবিধি সন্দেহ তৈরি করতে থাকে। পরে আমরা অটোরিকশার রুট ট্র্যাক এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর বের করে জানতে পারি এর চালক অরুণ যিনি ছতরপুরের বাসিন্দা। তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে অরুণ মৃতদেহটিকে ধরমভীরের স্ত্রী সুইটি বলে শনাক্ত করেন। তিনি স্বীকার করেন, তিনি, তার শ্যালক ধরমভীর এবং সত্যভান হরিয়ানা সীমান্তের কাছে শ্বাসরোধ করে সুইটিকে হত্যা করার পর লাশটি জঙ্গলে ফেলে দিয়েছিলেন।
অরুণ জানান, ধরমভীর তার স্ত্রীর আচরণে খুশি ছিলেন না কারণ তিনি প্রায়শই কোনও কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতেন। তিনি বলেন, সুইটির বাবা-মা’র কোন পরিচয় নেই। ধরমভীর তাকে একজন মহিলার কাছ থেকে ৭০ হাজার রুপির বিনিময়ে কিনে বিয়ে করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মামলার আরও তদন্ত চলছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অভিযুক্তরা ওই মহিলাকে রেলস্টেশনে নামানোর অজুহাতে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল।