প্রত্যাশা ছিল আমেরিকা ও কানাডায় মুক্তি পর সেখানকার সিনেমা হলগুলোতে ‘হাওয়া’ ঝড়ো হাওয়ায় রূপ নেবে! সেই প্রত্যাশা ছাড়িয়ে অনন্য রেকর্ড গড়েছে সিনেমাটি।

বাংলা সিনেমার ইতিহাসে মুক্তির চারদিনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের টপচার্টে জায়গা করে নিয়েছে মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’। বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের আন্তর্জাতিক পরিবেশক স্বপ্ন স্কেয়ারক্রোর প্রেসিডেন্ট অলিউল্লাহ সজীব বিষয়টি জানিয়েছেন।
নিজের ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে তিনি জানান, এটিই বাংলাদেশের প্রথম কোনো সিনেমা, যেটি যুক্তরাষ্ট্রের টপচার্টে প্রবেশ করেছে।
উত্তর আমেরিকার ১১৭ সিনেমা হলে ২ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায় চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ, নাজিফা তুষি, সোহেল মণ্ডল, সুমন আনোয়ার, নাসির উদ্দিন খান অভিনীত এ সিনেমাটি।
অলিউল্লাহ সজীব বলেন, ‘কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি সিনেমায় দর্শকদের আগ্রহে বক্স অফিসে একটি ঝড়ের সংকেত দেখেছিলাম আমরা। সেই ঝড় যে এত বড় হবে তা ছিল আমাদের কল্পনারও বাইরে। বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা হিসেবে হাওয়া ইউএস টপচার্টে জায়গা করে নিয়েছে। টপচার্টের ২৭ নম্বরে অবস্থান করছে সিনেমাটি। ’
অলিউল্লাহ সজীব আরো বলেন, “আপনি যদি ‘অবিশ্বাস্য’ কথাটার একটা বাস্তব রূপ দেখতে চান, নির্দ্বিধায় এটি সেটি। কত আয় করে ‘হাওয়া’ এ অভূতপূর্ব ঘটনার জন্ম দিল?
এ বিষয়ে তিনি বলেন, প্রথম চার দিনে (‘লেবার ডে’ থাকার কারণে এক দিন উইকেন্ড বেশি ছিল এবার), ‘হাওয়া’র গ্রস বক্স অফিস কালেকশন: ২১৩, ৪৬১ ডলার (কানাডা গ্রস: ৮৬,৩১২ ডলার, আমেরিকা গ্রস: ১২৭, ১৪৯ ডলার), এখন পর্যন্ত সিনেমাটি দেখেছেন ২৫, ৪৪৪ জন (কানাডায় ৯,৯৩০ জন, আমেরিকায় ১৫, ৫১৪ জন)।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি সিনেমা বিবেচনায়, এ সংখ্যা যে কত বিশাল তা বুঝতে পারবেন যখন উত্তর আমেরিকার বক্স অফিসে এত দিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ আয় করা বাংলাদেশি সিনেমা ‘দেবী’র আয়ের সঙ্গে এটিকে মেলাবেন। ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দেবী’র লাইফটাইম গ্রস বক্স অফিস আয় ছিল : ১২৫,৪১৪ ডলার। ‘দেবী’র সম্পূর্ণ আয় ‘হাওয়া’ মাত্র তিন দিনেই অতিক্রম করে গেছে! (‘হাওয়া’র তিন দিনের আয় ১৫৯,৭৫২ ডলার।) বাংলাদেশি মুদ্রায় দেড় কোটির বেশি।