বাংলাদেশ ও ভারতের মেয়েদের মধ্যকার ওয়ানডে সিরিজ সমতায় শেষ হয়েছে। মিরপুরে শনিবার বিকেলে চরম নাটকীয়তা ও রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের পর তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি টাই হয়। ম্যাচের ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট নয় ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর। অভিযোগের তুলেছেন আম্পায়ারিং নিয়ে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পুরস্কার বিতরণী মঞ্চেও।
ভারতের ইনিংসের ৩৪তম ওভারে আউট হন হারমানপ্রীত। নাহিদা আক্তারের একটি বল সুইপ করার চেষ্টা করতে গিয়ে ব্যর্থ হন হারমানপ্রীত। তার প্যাডে লাগে বল, সেখান থেকে যায় স্লিপের ফিল্ডার ফাহিমা খাতুনের হাতে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে সাড়া দিয়ে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার তানভীর আহমেদ।
আম্পায়ারকে আঙুল তুলতে দেখেই খেপে যান হারমানপ্রীত। প্রথমে এক হাত দিয়ে অন্য হাতে থাকা ব্যাটে আঘাত করে আম্পায়ারের দিকে অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। এরপর ব্যাট দিয়ে জোরে আঘাত করে স্টাম্প উড়িয়ে দেন। মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সময় আম্পায়ারের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে থাকেন। ড্রেসিং রুমে ফেরার পথে গ্যালারির দর্শকদের দিকেও হাত দিয়ে ইশারা করে দেখাচ্ছিলেন কিছু একটা।
যদিও সিরিজে আল্ট্রা এজ প্রযুক্তি এবং ডিআরএস না থাকায় টেলিভিশন রিপ্লে দেখে বোঝা যায়নি বল হারমানপ্রীতের ব্যাটে বা গ্লাভসে লেগেছিল কি না। তবে খালি চোখে দেখে মনে হয়েছে ক্যাচ আউট না হলেও এলবিডব্লু হতেই পারতেন হারমানপ্রীত।
পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে এসে আম্পায়ারিং নিয়ে নিজের সব ক্ষোভ প্রকাশ করেন হারমানপ্রীত। ‘ম্যাচটি থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারলাম। ক্রিকেট ছাড়াও যেরকম আম্পায়ারিং হলো, তাতে আমরা বিস্মিত। পরেরবার যখন আমরা বাংলাদেশে আসব, তখনও আমাদের এরকম জঘন্য আম্পায়ারিংয়ের মধ্যে খেলতে হবে। সেভাবে নিজেদের প্রস্তুতি করতে হবে।’
‘তারা (বাংলাদেশ) ভালো ব্যাটিং করেছিল। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং করেছিল। তারা সিঙ্গল নিচ্ছিল। যেগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা কিছু বাড়তি রান দিয়েছি। আমরা যখন ব্যাটিং করেছিলাম। ম্যাচটা ভালোভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। আমি আগেই বলেছি, জঘন্য আম্পায়ারিং হয়েছে। আম্পায়ারদের কয়েকটি সিদ্ধান্তে আমরা সত্যিই হতাশ।’
পরে সিরিজের ট্রফি সামনে রেখে স্বাগতিক ও সফরকারী দলের খেলোয়াড়রা জড়ো হয় ফটোসেশনের জন্য। সে সময় বাংলাদেশ দলের দিকেও কটূ মন্তব্য ছুড়ে দেন ভারতীয় অধিনায়ক। সেখানে আম্পায়ারদের নিয়ে আসতে বলেন তিনি। চলতে থাকে কথার টিপ্পনি। কটাক্ষ চলতে থাকায় দ্রুত ফটোসেশন শেষ করে অপমানিত বোধ করে দল নিয়ে ড্রেসিংরুমে চলে আসেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।