ইসরায়েল এবং গাজার পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যে তেল উৎপাদন ব্যাহত করতে পারে এমন উদ্বেগের কারণে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্রেন্ট ক্রুড এর দাম ব্যারেল প্রতি ২ দশমিক ২৫ ডলার বেড়ে গিয়ে ৮৬ দশমিক ৮৩ ডলারে পৌঁছেছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ব্রেন্ট ক্রুড ছাড়াও ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দাম ব্যারেল প্রতি ২ দশমিক ৫০ ডলার বেড়ে ৮৫ দশমিক ৩০ ডলার হয়েছে।
শক্তি বিশ্লেষক সাউল কাভোনিক বলেছেন, সংঘাতের কারণে বিশ্বব্যাপী তেলের দাম বেড়েছে। এর প্রভাব ইরান এবং সৌদি আরবের মতো নিকটবর্তী প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোতে পড়বে। যদি হামাসের হামলায় সহায়তা করার অভিযোগে ইরানকে প্রশ্নের মুখোমুখি করা হয় তাহলে বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহের ৩ শতাংশ ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।
পশ্চিমা দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তাদের এই পদক্ষেপের জন্য ইরানের সরাসরি সমর্থন রয়েছে। যদিও নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ইরান হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। তবে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হামলার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন তেল উৎপাদনকারী দেশ না হলেও মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ বিশ্বব্যাপী মোট চাহিদার প্রায় এক তৃতীয়াংশ তেল সরবরাহ করে থাকে। ইসরায়েলের ওপর হামাসের হামলা কয়েক দশক ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সবচেয়ে বড় আক্রমণ ছিল।
এর আগে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর বিশ্বব্যাপী তেলের দাম বেড়ে যায়। গত বছরের জুনে প্রতি ব্যারেলের দাম ১২০ ডলার অতিক্রম করে।