গ্রিসে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮৫ জন। এই ঘটনায় গ্রিসের জনতা বিক্ষোভ শুরু করেছে। অনেকের মতে, এটি শুধু দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত ঘটনা; যার অপেক্ষায় ছিল দেশটির সরকার।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে যেখানে ট্রেন বিপর্যয় ঘটেছিল তার কাছাকাছি থেসালোনিকি এবং লারিসা শহরে সাধারণ জনগণ বিক্ষোভ শুরু করে। এথেন্সে হেলেনিক ট্রেনর সদর দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভকারী জনতা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়ায়।
অন্যদিকে গ্রিসের সরকার বলছে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।
এই দুর্ঘটনায় গ্রিসে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা যায়, একটি যাত্রীবাহী গাড়ির সাথে মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হলে আগুন ধরে যায় ও বিস্ফোরণ হয়। যাত্রীবাহী ট্রেনের সামনের বগিগুলো বেশিরভাগই ধ্বংস হয়ে গেছে।
যাত্রীবাহী গাড়িতে থাকা ৩৫০ জনের মধ্যে অনেকেই ২০ বছর বয়সী শিক্ষার্থী, যারা এক সপ্তাহ গ্রীক অর্থোডক্স লেন্ট উদযাপনের পর থেসালোনিকিতে ফিরছিলেন।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘মর্মান্তিক মানবিক ত্রুটি’ এই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী।