হাসপাতালের একমাত্র সরকারি অ্যাম্বুলেন্স অচল। তবে হাসপাতালকর্মীর কেনা অ্যাম্বুলেন্স থাকে ফিটফাট। টাকা দিলে অ্যাম্বুলেন্স সেবা পাওয়া যায়। সন্দ্বীপে পাঁচ লাখ মানুষের চিকিৎসা খাতে একমাত্র ভরসার স্থান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। আর এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জরুরী অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিতে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও ভোগান্তিতে রয়েছে উপজেলাবাসী।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক রোগীর স্বজনরা জানায়, সরকারি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালক না থাকার কারণে তাদের বিকল্প ব্যবস্থায় কয়েকগুণ বেশী টাকা দিয়ে রোগী নিয়ে যেতে হচ্ছে। তাই দুর্ভোগ কমাতে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স চালক দেওয়ার দাবি জানান রোগী, রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী।
অন্যদিকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা বন্ধ থাকায় সুযোগ নিচ্ছে স্থানীয় বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স। তারা সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চাইতে কয়েকগুণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অনেক সময় তাও পাওয়া যায় না। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন রোগীরা।
উপজেলা সন্তোষপুর ইউনিয়নের মো. মাহফুজুর রহমান নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, গত রাত হঠাৎ করে তার মায়ের বুকের ব্যাথা শুরু হয়। তাই সকালে চিকিৎসা নিতে তার মাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা দেখে চট্টগ্রাম হাসপাতলে নেয়ার পরামর্শ দেন। মাকে এম্বুলেন্সে ঘাটে নিতে চাইলে কর্তৃপক্ষ চালক নেই বলে জানান। পরে বাধ্য হয়ে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স এর মাধ্যমে মাকে চট্টগ্রাম নেওয়ার জন্য সন্দ্বীপ ঘাটে নেয়া হয়। এতে করে তাকে গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মানস বিশ্বাস বলেন, এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের পর পরেই অ্যাম্বুলেন্সের চালক নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্যকে অবগত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দ্রুত সময়ে শূন্যপদে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্স চালক পদায়ন হলে উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্য সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।