৪৮ বর্ষী রায়ান গিগসের বিরুদ্ধে আগে থেকেই অভিযোগ ছিল প্রাক্তন বান্ধবীকে নিয়ন্ত্রণ ও জবরদস্তিমূলক আচরণ করার, সাথে আক্রমণ এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার কথা খবর হয়েছে অনেকবার। এবার সামনে এলো বান্ধবীকে মাথা দিয়ে আঘাত করার কথা।
সোমবার ম্যানচেস্টার মিনশুল স্ট্রিট ক্রাউন আদালতে হাজির হয়ে সাবেক বান্ধবীর অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন গিগস। একজন প্রসিকিউটর এ সময় জানান, ঝগড়ার এক পর্যায়ে বান্ধবী কেট গ্রেভিলকে ইচ্ছাকৃত মাথা দিয়ে আঘাত করেছিলেন ওয়েলসের সাবেক ফুটবলার।
গ্রেভিলকে ২০১৭ থেলে ২০২০ সাল পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা, জবরদস্তিমূলক আচরণ এবং আক্রমণাত্মক হওয়ার অভিযোগের মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ফুটবলারকে। অবশ্য বরাবরই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছেন গিগস। আদালতে হাজির হয়ে সেই অবস্থানেই অটল থাকেন।
প্রসিকিউটর পিটার রাইট কিউসি আদালতে বলেছেন, ২০২০ সালের নভেম্বরের সেই ঘটনায় গিগস সম্পূর্ণভাবে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে গ্রেভিলকে মাথা দিয়ে আঘাত করেছিলেন। যার ফলে গ্রেভিলের ঠোঁট ফুলে যায় এবং তার আঘাতের জায়গায় ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
গিগসের বিরুদ্ধে এটাই একমাত্র অভিযোগ নয়। সাবেক বান্ধবীকে মানসিকভাবে অত্যাচারের পাশাপাশি তার বোন ইমাকে কনুই দিয়ে আঘাত করার মতো ঘটনাও নাকি ঘটিয়েছেন।
এই বিচারকাজ ১০ দিন ধরে চলতে পারে। মঙ্গলবার মামলাটি ম্যানচেস্টার ক্রাউন আদালতে স্থানান্তরিত হবে। জুরি বোর্ডকে আদালত বলেছিল, মামলার সাক্ষীদের মধ্যে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন এবং সাবেক খেলোয়াড় গ্যারি নেভিলকে অন্তর্ভুক্ত করতে।
গিগসের ব্যক্তিজীবন আগেও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ২০১৭ সালে স্ত্রী স্টেসি গিগসের সঙ্গে ইউনাইটেডের হয়ে ৯৬৩ ম্যাচ খেলা ফুটবলারের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।
দীর্ঘ ৬৪ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ওয়েলসকে বিশ্বকাপে তোলার কারিগর গিগস। সাবেক বান্ধবীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নিয়ন্ত্রণ-জবরদস্তির আচরণে মামলা হওয়ার পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ওয়েলসের কোচের পদও ছেড়ে দিয়েছেন।