আবারও প্রেক্ষাগৃহে আসছে সদ্য ১১টি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবি ‘গোর’। চ্যানেল আই অনলাইনকে নির্মাতা গাজী রাকায়েত এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
নির্মাতা জানান, আগামি শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে রাজধানীর শ্যামলী প্রেক্ষাগৃহে আবারও ‘গোর’ ছবিটি দেখতে পারবেন দর্শক। যারা ছবিটি এখনও দেখেননি, কিন্তু আগ্রহ আছে তাদেরকে ছবিটি দেখার আমন্ত্রণ জানাই।
শ্যামলী সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ বলছে, শুক্রবার থেকে দৈনিক চারটি প্রদর্শনী থাকছে ‘গোর’ এর। প্রথম শো দুপুর ১২টায়। এরপর ২টা ৪০মিনিটে একটি, বিকেল ৫টা ৩০মিনিটে একটি এবং শেষ শো’টি রাত ৮টায়।
সরকারি অনুদানে নির্মিত ইমপ্রেস টেলিফিল্ম এর ছবি ‘গোর’। সদ্য ঘোষিত ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০’ এ যৌথভাবে ‘বিশ্বসুন্দরী’র সাথে ‘শ্রেষ্ঠ ছবি’র পুরস্কার জিতে নিয়েছেন সহপ্রযোজক ফরিদুর রেজা সাগর ও গাজী রাকায়েত। এ ছাড়াও শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক গাজী রাকায়েত (গোর), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী দীপান্বিতা মার্টিন (গোর), শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার গাজী রাকায়েত (গোর), শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার গাজী রাকায়েত (গোর), শ্রেষ্ঠ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম, শ্রেষ্ঠ শিল্পনির্দেশক উত্তম কুমার গুহ (গোর), শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক যুগ্মভাবে পঙ্কজ পালিত ও মো. মাহবুব উল্লাহ নিয়াজ (গোর), শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক কাজী সেলিম আহম্মেদ (গোর), শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা এনামতারা বেগম (গোর), শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান মোহাম্মদ আলী বাবুল (গোর) পুরস্কার অর্জন করেন।
‘গোর’ বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় নির্মাণ করেছেন গাজী রাকায়েত। ইংরেজি নাম ‘দ্য গ্রেভ’। এটি ইংরেজি ভাষায় নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম কোনো ছবি, যা বাণিজ্যিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। এমনকি ছিলো অস্কারের প্রাথমিক তালিকায়।
একজন গোর খোদকের জীবনের গল্পে ছবিটির প্রধান চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন গাজী রাকায়েত। আরও অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ, দিলারা জামান, এসএম মহসিন, মৌসুমী হামিদ, আশিউল ইসলাম, সুষমা সরকার, দীপান্বিতা মার্টিন, শামীমা তুষ্টি প্রমুখ।
গোর খাদকের গল্প নিয়ে এরআগে নির্মিত হয়েছিলো নাটক। গাজী রাকায়েতের চিত্রনাট্য ও অভিনয়ে ১৯৯৭ সালে ‘গোর’ নামে ৫৫ মিনিটের নাটক নির্মাণ করেছিলেন নির্মাতা সালাহউদ্দিন লাভলু। সেটি প্রচার হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। পরের বছর প্রথমবার আয়োজিত মেরিল–প্রথম আলো পুরস্কারে সেরা নির্মাতার পুরস্কার পেয়েছিলেন লাভলু।
এই নাটকে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছিলেন বিপাশা হায়াত। ওই গল্পটিকে সিনেমার উপজীব্য করেই চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন গাজী রাকায়েত।